1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তেজস্ক্রিয় বৃষ্টির ভয়ে স্কুল বন্ধ !

৭ এপ্রিল ২০১১

বৃহস্পতিবার এমনটাই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়৷ জাপানের ফুকুশিমা পরমাণু প্রকল্প থেকে নির্গত তেজস্ক্রিয় পদার্থ বৃষ্টির সঙ্গে ঝরে পড়তে পারে, এই আশঙ্কায় রাজধানী সোল’এর আশেপাশের বহু স্কুল ও কিন্ডারগার্টেন বন্ধ থেকেছে৷

https://p.dw.com/p/10pFk
ছবি: AP

গাইয়নগ্গি প্রদেশের প্রাদেশিক শিক্ষা বিভাগ থেকেই নির্দেশটা দেওয়া হয়৷ বন্ধ থাকে ১৩০টির বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কিন্ডারগার্টেন৷ কারণ : কেননা বৃষ্টি শুরু হয়েছে৷ এটাকে একটি ‘‘প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ'' বলেছেন কর্মকর্তারা৷ স্কুলের পড়ুয়া এবং তাদের বাবা-মা'দের মধ্যে নাকি তেজস্ত্রিয়তার সম্ভাবনা এবং ফলশ্রুতি নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে৷

এরপর সোল শহরের শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে নাকি ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের অভিযোগ এবং টিকাটিপ্পনি বাড়তেই থাকে৷ কাজেই বুধবার থেকেই বহু স্কুলকে তাদের ক্লাস কম করতে কিংবা একেবারে বাতিল করার পরামর্শ দেওয়া হয়৷ প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলগুলোকে নিয়েই ছিল বিশেষ চিন্তা, কেননা সেখানে পড়ুয়াদের বহুদূর থেকে পায়ে হেঁটে আসতে হয়৷ অন্যান্য স্কুলকে ক্লাস বন্ধ না করলেও, ফাঁকা জায়গায় খেলাধুলা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে৷ ফুটবল, বেসবল ইত্যাদি খেলার ম্যাচও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে৷

BdT Reflexe auf Bürgersteig in Toronto
ছবি: AP

দক্ষিণ কোরিয়ার এই পরমাণু আতঙ্কের কারণ হল, সোমবার জাপানের আবহাওয়া দপ্তর বলে যে, ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা পরমাণু প্রকল্প থেকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ দক্ষিণ-পূর্ব থেকে বয়ে আসা বাতাসে ভেসে কোরীয় উপদ্বীপে গিয়ে পড়তে পারে, যারা কিনা জাপানের নিকটতম প্রতিবেশী৷ অবশ্য দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আজ বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, বৃষ্টির ফোঁটায় খুবই স্বল্প পরিমাণ তেজস্ত্রিয়তা থাকে, কাজেই তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর নয়৷

আর যাদের গত ত্রিশ বছরের অভিজ্ঞতা আছে, তারা মনে করছেন, এককালে অ্যাসিড রেইন'এর ফলে অরণ্যপ্রকৃতি ধ্বংস হওয়া নিয়ে খুব হইচই হতো৷ আর এখন রেডিওঅ্যাকটিভ রেইন বা তেজস্ক্রিয় বৃষ্টির দরুণ হয়তো বাচ্চাদের তেজস্ক্রিয়তা প্রতিরোধক রেনকোট পরিয়ে স্কুলে পাঠাতে হবে!

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ