1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ত্বকের রোগ দাদ

২১ জানুয়ারি ২০২০

দাদ ত্বকের একটি জটিল রোগ৷ এটি একরকমের ভাইরাসের সংক্রমণে হয়৷ এটি শুধু ত্বক নয়, স্নায়ুকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে৷ তাই এর সঠিক চিকিৎসা দরকার৷

https://p.dw.com/p/3Watw
Fit und gesund Gürtelrose
ছবি: SWR

ইনগে ভিয়েনকের দাদে ভুগছেন৷ ত্বকের ওপর ছোট ছোট ফোস্কা দেখা দিয়েছে এবং আংশিক এরই মধ্যে খসখসে ও পুরোটাই প্রায় লাল হয়ে গেছে৷

দু'দিন ধরে ত্বকের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন৷ তাঁর ডাক্তার ত্বক পরীক্ষা করছেন এবং ব্যথা কতটা হচ্ছে নিয়মিত তার খোঁজ নেন৷

ইনকের ভাষায়, ‘‘প্রথম প্রথম ১০ মানে আমার কাছে ছিল আগুনের মতো, যেন কেউ ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে মুখে ধরেছে৷ কাল ১০ই ছিল, আজ সাত৷''

দাদের ক্ষেত্রে সাধারণত দেহের একপাশ আক্রান্ত হয়৷ আর ত্বকের বড় একটি অংশ জুড়ে হয়৷ দাদ হলো এক ধরনের ভাইরাল আক্রমণ৷ ফোসকার ভেতর কী হচ্ছে তা দেখা যায়, কিন্তু রোগের মূল আরো অনেক গভীরে৷

চিকেন পক্স ভাইরাস থেকে দাদ হয়, যাকে বলা হয় ভ্যারিসেলা-জোস্টার ভাইরাস৷ চিকেনপক্স ভালো হয়ে গেলেও তা রোগীর নার্ভটিস্যুতে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে৷ রোগী দূর্বল হয়ে পড়লে তা পরবর্তীতে আবার ফিরে সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে৷ এমনকি অনেক বছর পরও৷ তারা সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়ে নার্ভের কাছাকাছি ত্বকে আক্রমণ করে৷

জার্মানির শেফআর্ৎসট হাউটক্লিনিক লুডভিগসহাফেনের দাদ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এডগার ডিপেল বলেন, ‘‘নার্ভগুলো হলো হাইওয়ে৷ এগুলো দিয়ে ভাইরাস ত্বকে ছড়ায় এবং এই রাস্তাগুলো তখন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ব্যাথা হয়৷''

দাদকে গুরুত্ব দিন

দূর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতা ও মানসিক চাপের কারণে দাদ হতে পারে৷ ইনগে ভিনেকের স্বামী খুব অসুস্থ৷ তাঁকে স্বামীর দেখভাল করতে হচ্ছে৷ একইসময়ে তাঁর ছেলেও মারা গেছেন থাইল্যান্ডে৷ সেখানেও যেতে হবে ছেলেকে কবর দিতে৷

দাদের সঙ্গে ঠোঁটের ফুসকুড়ির মিল দেখে যে কেউ বিভ্রান্ত হতে পারেন৷ সন্দেহ হলে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে৷ যদি দাদ ঠিকমতো চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে ত্বকের বিভিন্ন জায়গা মরে যেতে পারে৷

প্রফেসর এডগার ডিপেলের ভাষায়, ‘‘আরেকটা সমস্যা হলো, থেরাপির পরও ব্যাথা উঠতে পারে, মানে সংক্রমণ হয়তো আর নেই, কিন্তু ব্যাথা থেকে যেতে পারে৷''

তাই ভালো হবার মলমই শুধু নয়, ব্যাথানাশক ওষুধও খেতে হবে৷ এতে করে পরবর্তীতে ব্যাথা হবার আশঙ্কা কমে যায়৷

ইনগেকে দিনে তিনবার করে একটি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ দেয়া হয়৷ এতে করে ভাইরাসের সংখ্যা বাড়ে না৷ ফুসকুড়িগুলো পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে ভালো হতে শুরু করে৷

২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে রবার্ট কখ ইনস্টিটিউট দাদের একটি নতুন ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে ষাট বছর বা তার বেশি বয়সীদের এবং ৫০ বছরের বেশি বয়স কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় ঘাটতি আছে, তাদের জন্য৷

যাদের আগে চিকেনপক্স হয়ে গেছে, তাদের সুরক্ষা দেয় এই ভ্যাকসিন৷

সভেনিয়া কাইজার/জেডএ