1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ত্রিপোলির লালকেল্লার প্রাকারে গাদ্দাফি

২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১

মিশর, বাহরাইন ছেড়ে বিশ্বের চোখ এখন লিবিয়ায়৷ দেশের পূর্বাঞ্চল বস্তুত গাদ্দাফির প্রভাবমুক্ত, বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে৷ সেনাবাহিনীর একাংশ বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দেওয়ায় বেনগাজি এবং তোব্রুক শহরগুলি বিদ্রোহীদের হাতে৷

https://p.dw.com/p/10PpM
মুয়াম্মার গাদ্দাফিছবি: Libya State Television via APTN/AP/dapd

নতুন খবর হল এই যে, পশ্চিমাঞ্চলেও নাকি মিস্রাতা এবং জাউইয়া শহর দু'টিতে সশস্ত্র প্রতিবাদ মাথা চাড়া দিয়েছে এবং অংশত সফল হয়েছে৷ রাজধানী ত্রিপোলিতেও গাদ্দাফি সমর্থকদের আধিপত্য থাকলেও, প্রতিবাদকারীরা এখানেও বর্তমান এবং সক্রিয়৷

নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক

বৈঠক শুরু হবে আজ শনিবার গ্রিনিচ মান সময় বিকাল চারটায়৷ তবে খসড়া প্রস্তাবটা ইতিমধ্যেই ১৫ সদস্যের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে৷ তা'তে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে লিবিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের উপরে নিষেধাজ্ঞার, লিবিয়ার বিশেষ বিশেষ কর্মকর্তাকে ভিসা প্রদানের উপর নিষেধাজ্ঞার, এবং গাদ্দাফি প্রশাসনের বিদেশে জামানত আটক করার৷ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ কিংবা মানবাধিকার ভঙ্গ ইত্যাদি আপাতত বাদ রাখা হচ্ছে৷ ও হ্যাঁ, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের মধ্যে রাশিয়া নাকি শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পক্ষে, তবে চীনের মনোভাব অজ্ঞাত৷

Libyen / Gaddafi / Kairo
লিবিয়ায় প্রতিবাদকারীদের প্রতিক্রিয়াছবি: AP

‘‘লালকেল্লার'' প্রাকার থেকে

গাদ্দাফি লিবিয়ার বিরুদ্ধে, মানে তাঁর বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র দেখছেন, তার মধ্যে আবার আল-কায়েদার হাতও দেখছেন৷ ডাক দিচ্ছেন শত্রুকে পর্যুদস্ত করার৷ অর্থাৎ তিনি যা কিছু বলছেন বা করছেন, তা সবই অতিমাত্রায় নাটকীয়, এবং তা'তে আপোষের চিহ্নমাত্র নেই৷ এই মুয়াম্মার গাদ্দাফির সঙ্গে রাজনীতি করা চলতে পারে না৷ বিদ্রোহীদের চেয়েও বেশি যুদ্ধংদেহি মনোভাব তাঁর৷

আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে

ঠিক কথা৷ কিন্তু গাদ্দাফি এখন মানসিকভাবে ক্ষিপ্ততার যে পর্যায়ে পৌঁছেছেন, তা'তে লিবিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থায় কতোটা ফল হবে, তা' বলা শক্ত৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন, উভয়েই প্রস্তাব গ্রহণ করার মুখে, এবং তাদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও মোটামুটি নিরাপত্তা পরিষদের অনুরূপ হবে৷ আসল কথা হল, পশ্চিমা শক্তিদের একাধিক যুদ্ধজাহাজ এবং রণতরী এখন লিবিয়ার উপকূলে৷ এছাড়া ন্যাটোও সামরিক পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত - যেমন লিবিয়ার উপরে বিমান উড়াল নিষেধ করা, যা'তে গাদ্দাফির জঙ্গিবিমান বিদ্রোহীদের উপর বোমাবর্ষণ করতে না পারে৷ তবে ন্যাটো জাতিসংঘের সনদ ছাড়া কোনো পদক্ষেপ নেবে না৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান