1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

থাইল্যান্ডে সরকার ও বিক্ষোভকারীরা আবার মুখোমুখি

১৩ মে ২০১০

থাইল্যান্ডে সরকার ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে আবার সংঘাত শুরু হয়েছে৷ কিছুক্ষণ আগে ব্যাংককে বেশ কিছু গুলির আওয়াজ পাওয়া গেছে৷ বিক্ষোভকারীরা যেখানে আছেন, সেখান থেকেই এই শব্দ শোনা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে৷

https://p.dw.com/p/NMlQ
ছবি: AP

বিক্ষোভকারীদের সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল খাট্টিয়া সাওয়াসডিপল আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে৷ আরও কয়েকজন আন্দোলনকারীকেও হাসপাতালে নিতে হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে৷

এর আগে সন্ধ্যার পর থেকে আন্দোলন স্থলের আশেপাশের সব রাস্তা বন্ধ করে দেয় সরকার৷ বাইরে থেকে কেউ যেন আর বিক্ষোভে অংশ নিতে না পারে সেজন্য এই ব্যবস্থা বলে জানা গেছে৷ এছাড়া বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নিরাপত্তা কর্মীরা ট্যাঙ্ক নিয়ে আন্দোলন স্থলের চারপাশ ঘিরে ফেলেছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন মুখপাত্র৷ কেউ যদি এই ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে তাহলে তাকে গুলি করার কথা বলা হয়েছে৷ এছাড়া হাসপাতালগুলোকে পর্যাপ্ত ডাক্তার, সেবিকা আর অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷

উল্লেখ্য, প্রায় তিন বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান করছেন৷ এদিকে ঐ এলাকার আশেপাশে যেসব দোকানপাট ও অফিস রয়েছে, সেগুলো আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে সরকার৷ এদিকে মার্কিন ও ব্রিটিশ দূতাবাস এদিন সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে৷

তবে বিক্ষোভকারীরা বলছেন যে, কোনো কিছু করেই তাঁদের আন্দোলন বন্ধ করা যাবেনা৷ সরকারের যে কোনো প্রচেষ্টা মোকাবিলা করার সামর্থ্য তাঁদের আছে বলে তাঁরা বলছেন৷

এদিকে আন্দোলন থামাতে প্রধানমন্ত্রী অপিসিৎ ভেজ্জাজিভার উপর চাপ ক্রমেই বেড়ে চলেছে৷ কারণ গত প্রায় দুই মাস ধরে এই আন্দোলন চলছে৷ ব্যাংককের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকার কাছে বিক্ষোভ চলায় ব্যবসা বাণিজ্যের বেশ ক্ষতি হচ্ছে৷ এছাড়া বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও আস্তে আস্তে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন৷

এর আগে গতকাল অর্থাৎ বুধবার সকালে আন্দোলন স্থলে পানি ও বিদ্যুতের লাইন কাটার পরিকল্পনা করেছিল সরকার৷ কিন্তু আশেপাশের বাসিন্দারা এর প্রতিবাদ করায় সরকার পরে সেই চিন্তা থেকে সরে আসে৷একজন থাই বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে, এর ফলে প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাসযোগ্যতা আরও কমে গেলো৷ কারণ সেনা বাহিনীর সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসায় এমনিতেই তাঁর জনপ্রিয়তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷

নতুন নির্বাচনের দাবিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রার সমর্থকরা প্রায় দুই মাস আগে এই আন্দোলন শুরু করেছিল৷ এর মধ্যে গতমাসে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের একবার সংঘর্ষ হয়৷ এতে ২৯ জন প্রাণ হারান৷ এরপর এ মাসের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী ভেজ্জাজিভা নভেম্বরের ১৪ তারিখে নতুন নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করেন৷ বিক্ষোভকারীরা তা মেনেও নেন৷ তবে বিক্ষোভ থেকে সরে আসার জন্য তাঁরা সরকারকে নতুন শর্ত দেন৷ আর তা হলো সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে জড়িত উপ-প্রধানমন্ত্রীর বিচার করতে হবে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক