1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

থাই নারীদের জন্য জার্মান ভাষা ও সংস্কৃতির পাঠ

২৫ জুলাই ২০১০

জার্মান বউ হতে আগ্রহী থাই নারীদের জন্য শুরু হচ্ছে জার্মান ভাষা ও সংস্কৃতির পাঠ৷ থাইল্যান্ডের খন কায়েন বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী সপ্তাহেই চালু হবে এই কোর্স৷

https://p.dw.com/p/OUAs
ছবি: UNICEF/JEREMY HORNER

যেসব থাই নারী জার্মান পুরুষদের বিয়ে করে জার্মানিতে পাড়ি জমাতে চায় তাদের জন্যই এই উদ্যোগ৷

জার্মান ভাষা ও সংস্কৃতির পাশাপাশি এই কোর্সে রয়েছে থাই মাসাজ, থাই রান্না এবং শিশু পরিচর্যা জাতীয় মৌলিক দক্ষতার প্রশিক্ষণ৷ ইতিমধ্যে এই কোর্সে নাম নিবন্ধন করেছেন ২০ জন থাই নারী৷ দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খন কায়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথভাবে পরীক্ষামূলক এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়টি থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহর ইসানের বৃহত্তম শিক্ষাপিঠ৷ ইসান শহরই থাইল্যান্ডের সবচেয়ে জনবহুল এবং দরিদ্র শহর৷

সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশের নাগরিকদের জন্য আইনি কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে৷ নিয়ম করা হয়েছে, জার্মান নাগরিকের বউ হলেও ১৮ বছরের কম বয়সি কাউকে গ্রহণ করা হবে না৷ এছাড়া জার্মানিতে আসতে হলে তাদের ন্যুনতম জার্মান ভাষা ও সংস্কৃতির জ্ঞান থাকতে হবে৷ এমন কড়াকড়ি নিয়ম-কানুনের ফলেই থাই সরকারের এই উদ্যোগ৷ ব্যাঙ্কক পোস্ট পত্রিকার সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় এক লাখ থাই নারী বাস করছে জার্মানিতে৷ তাদের পাঁচ ভাগের এক ভাগই বিয়ে করেছে কোন জার্মান পুরুষকে৷

থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মহাপরিচালক মাদুরাপোচানা ইটারোঙ জানান, ইসানের নারীদের বিদেশি নাগরিকদের বিয়ে করার হার প্রতি বছরই বাড়ছে৷ কিন্তু জার্মান ভাষা এবং সংস্কৃতি না জানার কারণে সেখানে নিজেদের খাপখাওয়াতে গিয়ে বেশ সমস্যায় পড়ছে তারা৷ যেমন সকাল ১০ টার আগে বাসায় অতিথি না আসা কিংবা সংসারের ব্যয়ে দু'জনেরই অংশীদারিত্ব - এসব বিষয় ঠিক মেলে না দু'জনের৷ তাই সেখানে যাওয়ার আগেই যদি নারীদের এগুলো জানা থাকে সেক্ষেত্রে বেশ সুখে কাটতে পারে তাদের দাম্পত্য জীবন, বলেন খন কায়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডুসাডি আরুইয়াত৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: জাহিদুল হক