1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

থাই সরকার দমননীতি বাড়াবে,আশঙ্কা আন্দোলনকারীদের

২৫ এপ্রিল ২০১০

সমস্যা মিটল না থাইল্যান্ডে৷ প্রধানমন্ত্রী অভিজিত ভেজাজ্জিভা অন্তর্বর্তী নির্বাচনে রজি না হওয়ায় সমস্যা যেখানে ছিল, থেকে গেল সেখানেই৷ ‘লালজামা’ আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা, সরকার দমননীতির পথ বেছে নেবে৷

https://p.dw.com/p/N5f4
ছবি: AP

গত শুক্রবার কিছুটা নরমপন্থা বেছে নিয়েছিল থাইল্যান্ডের থাকসিন সমর্থক ‘লালজামা' আন্দোলনকারীরা৷ ফলে শনিবার থাই প্রধানমন্ত্রী অভিজিত ভেজাজ্জিভার সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন তাদের নেতা৷ কিন্তু, আন্দোলনকারীদের দাবিমত সবপক্ষের মত না নিয়ে এখনই সংসদ ভেঙে দিয়ে অন্তর্বর্তী নির্বাচনের পথ বেছে নিতে প্রধানমন্ত্রী ভেজাজ্জিভা রাজি হন নি শেষ পর্যন্ত৷ বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর ‘লালজামা' আন্দোলনকারীদের শীর্ষনেতাদের একজন ওয়েন টোজিরাকান জানান, পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ভেজাজ্জিভা সরকার আরও দমননীতির পথ বেছে নেবে বলে তাঁদের আশঙ্কা৷

বস্তুত বিতাড়িত প্রাক্তন থাই প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়ার্তা সমর্থক ‘লালজামা' আন্দোলনে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক৷ ব্যবসা বাণিজ্য তো বন্ধই, আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠায় সেনাসদস্য এবং আন্দোলনকারী মিলিয়ে অন্তত পঁচিশজনের মৃত্যু হয়েছে এ পর্যন্ত৷ এ মাসের গোড়ায় ‘লালজামা' আন্দোলনকারীরা সংসদভবনে জোর করে ঢুকে পড়ার পর দেশের বেশ কিছু অংশে জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রধানমন্ত্রী ভেজাজ্জিভা৷ ‘লালজামা' আন্দোলন এরপর ক্রমশ আরও তীব্র আকার নেয়৷

Thailand Politik Anti Regierung Flash-Galerie
ছবি: AP

শনিবারের ব্যর্থ বৈঠকের পর সরকারের তরফে সরকারি মুখপাত্র পাটিন ওয়াটারনায়াগন জানিয়েছেন, আপাতত দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া করার মত কোন পরিস্থিতিই নেই৷ পাটিন বলেন, সরকারের তরফে আন্দোলনকারীদের সাফ বলে দেওয়া হয়েছে, সর্বাগ্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে কোনরকম বোঝাপড়ার পথ নিতে রাজি নয় প্রশাসন৷ সরকারি মুখপাত্রের অভিযোগ, ‘লালজামা' আন্দোলনকারীরা ব্যাংকক ছাড়াও দেশের অন্যত্র ক্রমশ ছড়িয়ে দিচ্ছে এই আন্দোলনকে৷ তারা সরকারি কর্মকর্তাদের ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে৷ ইতিপূর্বে আন্দোলনকারীদের নেতৃত্বের সঙ্গে সরকারের আলোচনার কয়েকটি সম্ভাবনা অংকুরে বিনষ্ট হয়ে গেছে এই কারণেই, বলেছেন পাটিন৷

প্রধানমন্ত্রী ভেজাজ্জিভা সঙ্গে ‘লালজামা' আন্দোলনকারীদের নেতাদের বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও সহিংস আকার নিতে পারে বলে ধারণা করছে ওয়াকিবহাল মহল৷ ইতিমধ্যেই একাধিক গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছে গত শুক্রবার৷ এই গ্রেনেড হামলার দায় ‘লালজামা' আন্দোলনকারীদের ওপরেই চাপিয়েছে থাই সরকার৷ রাজধানী ব্যাংককের বেশ কয়েকটি জায়গা কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে৷ আলোচনার পথ প্রশস্ত না করতে পারলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷

প্রতিবেদন:সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম