1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

থ্রি-ডি বনাম টু-ডি

২৫ জুলাই ২০১০

‘‘আভাটার'', অর্থাৎ ‘অবতার'-এর সাফল্যের পর ফিল্ম জগতে থ্রি-ডি'র যুগ এসে পড়েছে বলে যারা ভাবছিলেন, ‘‘ক্ল্যাশ অফ দ্য টাইটান্স'' দেখার পর তারাই আবার চিন্তায় পড়েছেন৷

https://p.dw.com/p/OU20
avatar
আভাতার ছবি থ্রি ডি মুভিছবি: 2009 Twentieth Century Fox

মুভি, মুভিং পিকচার, যে ছবি নড়ে৷ সাইলেন্ট মুভি একদিন কথা বলতে শিখে হল টকি৷ সেটাই যথেষ্ট নয়, পরে যোগ হল কালার কিংবা রং৷ তার পরে আর দেখার কিংবা দেখানোর কিছু নেই বলে যারা ধরে নিয়েছিলেন, তাদেরই চমকে দিয়ে ফিরে এসেছে একটি বহু পুরনো আবিষ্কার: থ্রি-ডি, বাংলায় যাকে বলে ত্রিমাত্রিক ছবি৷

ঐ তৃতীয় ডাইমেনশন বা মাত্রাটি আর কিছু নয়, বেধ বা গভীরতা৷ কেননা সাধারণভাবে ছবিতে থাকে দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ৷ অথচ বাদ যেটা পড়ে, সেটার সঙ্গে আমাদের বাস্তবের অনুভূতি অতি গভীরভাবে যুক্ত৷ তা না হলে আমাদের দুটো চোখের প্রয়োজন পড়ত না৷ স্টিরিওস্কোপিক ফটোগ্রাফিতে একটি বিশেষ ধরণের মোশন পিকচার ক্যামেরা দিয়ে দুটি বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ছবি তোলা হয়, যে দুটোকে মেলালে পরে আমাদের বাস্তব চোখে দেখার, অর্থাৎ গভীরতার অনুভূতি সৃষ্টি হতে পারে৷ বর্তমানে কম্পিউটারেই যা করা সম্ভব৷

Sam Worthington
স্যাম ওয়ার্দিংটন, আভাতার এবং ক্লাশ অব দ্য টাইটান্স মুভির নায়কছবি: AP

ত্রিমাত্রিক ছবি তো পঞ্চাশের দশক থেকেই রয়েছে৷ কিন্তু চলচ্চিত্র শিল্পে তা বিশেষ আমল পায়নি৷ তার মূল কারণ, সে ধরণের ছবি তৈরী করার এবং দেখানোর খরচ অনেক বেশী৷ কিন্তু একদিকে কম্পিউটারে ইমেজ সৃষ্টি করার সহজিয়া পন্থা, অপরদিকে বিশ্ব জুড়ে আইম্যাক্স সিনেমা হল এবং ডিজনিল্যান্ড গোত্রীয় থীম-পার্ক উদয় হবার পর থ্রি-ডি'র দ্বিরাগমনটাই স্বাভাবিক এবং গত এক দশক ধরে ধীরে ধীরে ঠিক তাই ঘটেছে৷ এবং গত বছরের ডিসেম্বরে ও এ'বছরের জানুয়ারি'তে ‘‘আভাটার''-এর ত্রৈমাত্রিক সাফল্যের পর থ্রি-ডি'কে আর রোখে কে? সেইরকমই ভাবা গিয়েছিল৷

কিন্তু তার পরই এলো গ্রিক পুরাণের উপর ভিত্তি করে তৈরী ছবি ‘‘ক্ল্যাশ অফ দ্য টাইটান্স''৷ দ্বিমাত্রিক ছবি, শুটিং শেষ হবার পর তাড়াহুড়ো করে কোনোমতে থ্রি-ডি'তে পরিণত করা হয়েছে৷ সমালোচকরাও ঠিক সেই পরিমাণ গাল দিয়েছেন৷ এরকম ত্রিমাত্রিক ছবি তৈরী হলে দর্শকরা গ্যাঁটের পয়সা খরচ করে তা দেখবে কেন? এই ছিল প্রশ্ন৷ ওদিকে ‘‘স্টার ওয়ার্স'' কি ‘‘টাইটানিক''-এর মতো পুরনো হিটগুলোর থ্রি-ডি রিমেক করে কোটি কোটি ডলার কামানোর স্বপ্নটাও তো পুরোপুরি ত্যাগ করা যায় না৷

ধীরে ধীরে হলিউড বুঝতে শুরু করেছে যে, থ্রি-ডি ছবির কাহিনী, চিত্রনাট্য, ক্যামেরার কাজ, প্রতিটি শট, সবই হবে এই নতুন মাধ্যমের সম্ভাবনা ও ধারাপ্রকৃতি অনুযায়ী৷ জেমস ক্যামেরনের ‘আভাটার' যে কারণে সার্থক হয়েছে৷ প্রযুক্তি অবশেষে এসে তাঁর কল্পনাকে ধরে ফেলেছে, বলেছিলেন ক্যামেরন৷ ভবিষ্যতের ভালো থ্রি-ডি তৈরী হবে ঠিক ও'ভাবেই৷ ঐ যে বলে না, লাক্ষার রেকর্ড থেকে এলপি, সিডি হয়ে এমপি-থ্রি: কৈ, গানের ভালোমন্দর তো কোনো তারতম্য দেখলাম না?

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম