1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দশ রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে এর্দোয়ানের কড়া পদক্ষেপ

২৫ অক্টোবর ২০২১

তলব হয়েছিল আগেই, এবার দশ দেশের রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা জানালেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।

https://p.dw.com/p/428FH
এর্দোয়ান
ছবি: Vladimir Smirnov/Sputnik/REUTERS

কূটনীতির ভাষায় 'পার্সোনা নন গ্রাটা' একটি ভারী শব্দ। এর অর্থ, অবাঞ্ছিত ব্যক্তি। দশ পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে এই মর্মেই নোটিস জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান। পার্সোনা নন গ্রাটা ঘোষণার পরবর্তী পদক্ষেপ হলো, ওই ব্যক্তিকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা। দশ দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও সে কাজ করা হবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। জার্মানি, অ্যামেরিকা-সহ একাধিক উন্নত দেশের রাষ্ট্রদূতেরা ওই তালিকায় আছেন। কারণ, তারা অ্যাক্টিভিস্ট ওসমান কাভালার মুক্তির দাবিতে একটি একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছিলেন।

জার্মানি, অ্যামেরিকা, ক্যানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে এবং সুইডেনের রাষ্ট্রদূত ওই দলে আছেন। গত মঙ্গলবার ওই রাষ্ট্রদূতদের তলব করেছিল তুরস্কের সরকার। তাদের সঙ্গে কথা বলার পরেই শনিবার নিজের বক্তব্য জানান এর্দোয়ান। সকলের বিরুদ্ধে পার্সোনা নন গ্রাটার নোটিস জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, 'যারা তুরস্ককে চেনে না, তাদের তুরস্কে থাকারও কোনো অধিকার নেই।'

তুরস্কের এই হুমকির পরে মুখ খুলেছে একাধিক দেশ। জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংবাদসংস্থা ডিপিএ-কে জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে বাকি নয়টি দেশের সঙ্গে তারা আলোচনা করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও এ বিষয়ে টুইট করেছে।

নরওয়ে এবং ডেনমার্কও জানিয়েছে তারা এখনো কোনো নোটিস সরকারিভাবে পায়নি। তবে অন্য দেশগুলির সঙ্গে তারা যোগাযোগ রাখছে। নরওয়ে জানিয়েছে, তাদের রাষ্ট্রদূত এমন কোনো কাজ করেননি, যার জন্য এমন সিদ্ধান্ত হতে পারে।

এই ঘটনার ফলে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক আরো জটিল হবে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। যেভাবে এর্দোয়ান চরম পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পশ্চিমা বিশ্ব তা ভালো চোখে দেখছে না বলেই মনে করা হচ্ছে। ডেনমার্ক জানিয়েছে, মানবাধিকার নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছিল। ভবিষ্যতেও তোলা হবে। তুরস্ককে তা মানতেও হবে, কারণ ইউরোপিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের অংশ তুরস্ক।

দশটি দেশ অ্যাক্টিভিস্ট ওসমান কাভালার মুক্তির দাবিতে যৌথ বিবৃতি দিয়েছিল। ২০১৭ সালে ওসমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। তিনি এর্দোয়ান বিরোধীদের গেজিপার্ক প্রোটেস্টে মদত দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ২০১৬ সালের সরকারবিরোধী বিদ্রোহেও তিনি যোগ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও তা সফল হয়নি।

এর আগে তার বিরুদ্ধে ওঠা দুইটি অভিযোগই আদালতে প্রমাণ করা যায়নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাকে জেল থেকে ছাড়া হয়নি। নতুন করে মামলাগুলি সাজানো হয়েছে।

এসজি/জিএইচ (এপি, রয়টার্স)