1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘দাদাগিরির আরেক নাম হাথুরু’

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

শ্রীলংকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ তে হেরে আবার সমালোচনার মুখে পড়েছে টাইগাররা৷ রবিবার বোলিং-ব্যাটিং ব্যর্থতায় শেষ টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলংকার কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে স্বাগতিকরা৷

https://p.dw.com/p/2sv8z
ছবি: picture alliance/Zumapress

শেষ ম্যাচে রেকর্ড ব্যবধানের জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করল শ্রীলংকা৷ শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৭৫ রানে হারিয়েছে শ্রীলংকা৷ রোববার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২০ ওভারে শ্রীলংকা তুলেছিল ২১০ রান৷ বাংলাদেশ করতে পেরেছে ১৩৫৷ এর আগে ঢাকায় প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটে হারে বাংলাদেশ৷

সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে টেস্টের পর টি-টোয়েন্টিতেও দলের নেতৃত্ব দেন মাহমুদউল্লাহ৷ দুই ম্যাচের সিরিজে ছয় ক্রিকেটারের অভিষেক করায় বাংলাদেশ৷ ঢাকায় প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় চার জনের৷ সবশেষ টি-টোয়েন্টির দলে আনা হয় পাঁচটি পরিবর্তন৷ এত পরিবর্তনেও লাভ হয়নি৷ তাই বাংলাদেশ দল এখন কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলের সামর্থ্য নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে৷

মিজানুর রহমান খান এ প্রসঙ্গে ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, ‘‘সুন্দরবন ছাড়াও আরো একটি জায়গায় ‘টাইগার’ দেখতে পাওয়া যায়৷ তাদেরকে দেখা যায় ক্রিকেটের মাঠে বিচরণ করতে৷ নামে টাইগার হলেও আসলে তারা কিন্তু বিড়াল৷ এদের বাঘ হয়ে উঠার সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু তারা যখন মাঝেসাঝে দু-একটা হরিণ শিকার করতে শুরু করলো, তখন তাদের বাড়ি-গাড়ি জমিজমা ইত্যাদি দিয়ে তাদের স্বভাব নষ্ট করে দেওয়া হলো৷ তাদের দাঁত খসে পড়লো, থাকলো না নখের ধারও৷ ফলে তারা এখন আর শিকার করতে পারে না৷ এমনকি তাদের নিজেদের বনেও তারা দিনের পর দিন বাইরে থেকে আসা সিংহের শিকার হয়৷’’

ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদ কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশ দলের প্রশংসা করতে গিয়ে শ্রীলংকাকে কটাক্ষ করেছিলেন৷ বাংলাদেশ ত্রিদেশীয় সিরিজ, টেস্ট সিরিজ এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে শ্রীলংকার কাছে বাজেভাবে হারার পর ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘‘শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সিরিজ আয়োজন এখন সময়ের দাবি৷ ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ২ ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে উইকেটে এবং শ্রীলঙ্কাকে ১৬৩ রানে বাংলাদেশ হারানোর পর লিখেছিলাম-- বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সঙ্গে শ্রীলংকা, জিম্বাবুয়ে ও পাকিস্তান জাতীয় দলকে নিয়ে একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন এখন সময়ের দাবি৷ খেয়াল করে দেখুন, দুবারের দাবিটাই সময়ের; আমার না৷’’

ক্রীড়া অনুষ্ঠান উপস্থাপক কাজী সাবির ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, ‘‘সব ক্রেডিট হাথুরুর!!! এমনকি আজ শ্রীলংকা যে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে সেটাও তারই অবদান!’’

ফাহিম রহমানও লিখেছেন হাথুরুর কথা৷ তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘আমরা জবাব দেই মুখে, হাথুরুসিংহে জবাব দিলেন কাজে৷ হাথুরু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন খেলা নিয়ে৷ আর আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছি খেলোয়াড়দের নিয়ে৷’’

বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জেতার মতো দল: রাজ্জাক

আশরাফ শোভন ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘দাদাগিরির আরেক নাম হাথুরু৷’’ তিনি ২০১৪ সালের উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘‘সেসময় টানা ম্যাচ হেরে খাদের কিনারায় বাংলাদেশ৷ পরাজয় নামক বিভীষিকা কিছুতেই যেন পিছু ছাড়ছিল না৷ এমন চরম সংকট থেকে উত্তোরণের জন্য একজন ত্রাতার খুব দরকার ছিল৷ ঠিক তখনই তিনি এলেন৷ আর বাংলাদেশ যেন পেয়ে গেল লটারির টিকিট৷ রাতারাতি দৃশ্যপট বদলাতে শুরু করলো৷ দলীয় পারফর্ম্যান্স আপাদমস্তক বদলে গেল৷ দেশের মাটিতে অপরাজেয় তো বটেই, বিদেশের মাটিতেও নিজেদের প্রমাণ করলো বাংলাদেশ৷ বিশ্বকাপের মতো আসরে প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেললো টাইগাররা৷ খেললো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো আসরের সেমিফাইনালে৷ বলা যায় ‘তিনি এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন’৷ হাথুরু দেখিয়েছিলেন কীভাবে একটি দল ঘুরে দাঁড়াতে পারে৷ .......আজ আমরা হাথুরুর চরম অভাব বোধ করছি৷ বলতে গেলে আমরা আবারো খাদের কিনারায় চলে এসেছি৷ হয়তো কেউ না কেউ আবার আলোর পথ দেখাবে৷ কিন্তু আমাদের ক্রিকেট বোর্ডকে এক নীতিতে চলতে হবে৷ কোনো ব্যক্তিস্বার্থ বা অন্য কারণে এমন সম্পদ আর যেন না হারাতে হয় সেদিকে মনোযোগী হতে হবে৷ নয়তো বার বার আমাদের হারানোর আক্ষেপে পুড়তে হবে৷’’

সংকলন: অমৃতা পারভেজ

সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী

ছবিঘরটি দেখুন৷ ডয়চে ভেলের অনুরোধে এপ্রিল, ২০১৬ সালে এই একাদশ নির্বাচন করেন আকরাম খান...