1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দামি ইলেকট্রিক গাড়ির বিকল্প ‘স্ট্রিট-স্কুটার’!

রিৎসকি নুগ্রাহা / জেডএইচ১ নভেম্বর ২০১৩

আধুনিক, মনোরম ডিজাইন, দামে কম৷ এই হলো ‘স্ট্রিট-স্কুটার’৷ যারা মনে করেন, শুধু নামকরা গাড়ি নির্মাতারাই ইলেকট্রিক কার তৈরি করেন, তাঁরা ভুল বলেন৷

https://p.dw.com/p/1AAC4
Elektro-Autos in Norwegen. Oslo, 2013 copyright: Lars Bevanger zugeliefert von: Louisa Schaefer
ছবি: Lars Bevanger

জার্মানির আখেন শহরের একটি কোম্পানি স্ট্রিট-স্কুটার তৈরি করছে৷ শহরের মধ্যে ঘোরাঘুরি আর অল্প দূরত্বের পথ পাড়ি দিতে তৈরি হয়েছে এই যান৷ এ ধরনের একটি মডেলের দাম পড়ছে ছয় থেকে দশ হাজার ইউরোর মতো৷ দামি ইলেকট্রিক গাড়ির বিকল্প খোঁজাই নির্মাতাদের লক্ষ্য৷

স্ট্রিট-স্কুটার কোম্পানি প্রধান অধ্যাপক ড. আখিম কাম্পকার বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে গাড়ির কাঠামো যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আমরা তা পরীক্ষা করে ভেবে দেখছি, লেজার, সিএনসি ফোল্ডিং ইত্যাদি ব্যবহার করে কীভাবে আরও কম খরচে নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব৷ ট্রায়াম্ফ কোম্পানির সঙ্গে আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি৷ উদ্দেশ্য, কম বিনিয়োগ করেও গাড়ির এমন নিরাপদ বডি করা, যা সহজে পরিবর্তনও করা সম্ভব৷''

আগামী বছর থেকে বড় আকারে স্ট্রিট-স্কুটার উৎপাদন শুরু হবে৷ প্রকৌশলীরা এখনো ইলেকট্রিক গাড়ির প্রাথমিক সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছেন৷

অধ্যাপক কাম্পকার বলেন, ‘‘এখন আমরা যে বিষয়টা নিয়ে কাজ করছি সেটা হচ্ছে ‘হিট পাম্প'৷ ইলেকট্রিক গাড়ির একটা বড় সমস্যা হলো এর এয়ার-কন্ডিশনিং ব্যবস্থা৷ কারণ এসি চালালে গাড়ির ব্যাটারি মাত্র অর্ধেক পথ চলার মত শক্তি রাখে৷ একবার চার্জ করার পর ইলেকট্রিক গাড়ির সীমা যেহেতু ১০০ কিলোমিটারের মতো, তাই এ দিকে নজর দিতেই হবে৷''

স্ট্রিট-স্কুটারের পরিকল্পনার উপর আস্থা রেখে জার্মান ডাক বিভাগ ডয়চে পোস্ট ইতিমধ্যে ৫০টি যানের অর্ডার দিয়েছে৷ সেগুলো দিয়ে তারা চলতি বছর পরীক্ষামূলকভাবে জার্মানির বন শহরে চিঠি ও পার্সেল সরবরাহের কাজ করছে৷

ডয়চে পোস্টের কর্মকর্তা ড. ইওয়াখিম ভেসেলস বলেন, ‘‘গাড়িগুলো প্রতিদিনের নিয়মিত কাজে লাগানো হবে৷ এমনকি শীতকালেও, এবং সেটাই হবে এই গাড়ির জন্য একটি অগ্নিপরীক্ষা৷ আর তাতে সফল হলে আমরা বড় আকারে উৎপাদনের কথা ভাববো৷''

অর্ডার পেলে সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যে গাড়ি সরবরাহ করার ক্ষমতা আছে স্ট্রিট-স্কুটারের৷ অধ্যাপক কাম্পকার আশাবাদী৷ ডয়চে পোস্টের সঙ্গে যৌথ প্রকল্প কোম্পানিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে৷ এছাড়া একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অনেক নতুন পরিকল্পনারও উদ্ভব ঘটছে – যা কোম্পানির ভবিষ্যৎ তৈরিতে সহায়তা করবে বলে মনে করেন তিনি৷

কাম্পকার বলেন, ‘‘আগামী বছর থেকে আমরা গাড়ি বিক্রি শুরু করবো৷ যেহেতু আমরা বিশেষ ধরনের পণ্য নিয়ে কাজ করছি, তাই এর একটা আলাদা গুরুত্ব আছে৷ অর্থাৎ আমাদের কিছু আইডিয়া অন্য ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা সম্ভব৷ এটুকু দাবি করতে পারি৷''