1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দিল্লি সফরে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল, শুরু বিতর্ক

১৭ জুন ২০২১

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের দিল্লি সফর নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সন্ধ্যায় দেখা করবেন।

https://p.dw.com/p/3v4pq
জগদীপ ধনখড়
ছবি: Prabhakar Mani Tewari/DW

ঝটিতি দিল্লি সফরে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধানের সঙ্গে। দেখা করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও। তার এই সফর নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে।

পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়ে আসার পর থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল ধনখড়। শাসকদল তৃণমূল প্রকারন্তরে তাকে বিজেপির এজেন্টও বলেছে। বস্তুত, ধনখড় এক সময় আরএসএস এবং বিজেপি দুই-ই করেছেন। কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে তার সখ্য গোপন নয়। তবে ভোটের পরে রাজ্য সরকারকে সরাসরি আক্রমণের রাস্তা নিয়েছেন ধনখড়। দিল্লি সফরের আগে রাজ্য সরকারকে একটি কড়া চিঠি দিয়েছেন তিনি। যেখানে বলা হয়েছে, ভোট পরবর্তী সহিংসতা এক অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে। রাজ্য সরকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। মন্ত্রিসভার বৈঠকেও এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এর ফলে বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের মৃত্যু হচ্ছে। সম্পত্তি নষ্ট হচ্ছে।

এই চিঠি দিয়েই দিল্লির বিমান ধরেন ধনখড়। তার আগে রাজ্যে বিরোধী দলনেতা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে এ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। বস্তুত, তিন দিনের দিল্লি সফরে প্রথম দিনই তিনি কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন অরুণকুমার মিশ্রের সঙ্গে দেখা করেন। অরুণ কুমার এর আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ছিলেন। অবসরের পর কেন্দ্র সরকার তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে। ধনখড় পেশাগত ভাবে আইনজীবী। অরুণ কুমারের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি জানিয়েছেন, সৌজন্য বিনিময় করতেই গিয়েছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের ধারণা, পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার দেখা করার কথা। যদিও রাজভবন এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি দেয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি।

ধনখড় সকলের কাছেই পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে নিজের রিপোর্ট দিতে পারেন বলে কোনো কোনো মহলের ধারণা। আর সেই জল্পনা থেকেই নতুন একটি প্রশ্ন সামনে চলে আসছে। তা হলে কি রাজ্যে ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা জারির প্রথম পদক্ষেপ নিলেন ধনখড়। বিজেপির একাধিক নেতা রাজ্যে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে বলে বার বার অভিযোগ করেছেন। ফলে এই জল্পনা একেবারে অমূলক নয়।

রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''রাজ্যের পরিস্থিতি কী, কেন্দ্র তা জানে। রাজ্যপাল সে বিষয়ে কথা বলতে গেছেন কি না, তা তিনিই বলতে পারবেন। তবে রাজ্যে যে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন, তা বলাই বাহুল্য।'' অন্য দিকে, তৃণমূলের এক মন্ত্রী ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''রাজ্যপালকে ব্যবহার করে কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গের উপর চাপ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। এটা শুধু অগণতান্ত্রিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী। ভোটে হেরে এখন বিজেপি পিছনের রাস্তা দিয়ে রাজ্যে ক্ষমতা জাহির করতে চাইছে। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি।''

ধনখড় সাধারণত নিজের প্রতিক্রিয়া টুইট করে জানিয়ে দেন। প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষেত্রে বিশেষ রাখঢাকও রাখেন না। কিন্তু দিল্লি সফর নিয়ে এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া তিনি দেননি। তার এই স্বভাববিরুদ্ধ আচরণও রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)