1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুই আবিষ্কারক ইউটিউবারের কাণ্ড!

৩১ অক্টোবর ২০১৯

জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের কাছে বিকেনবাখ এলাকায় দুই যমজ ভাই অদ্ভুত সব আবিষ্কার নিয়ে মেতে উঠেছেন৷ ফিলিপ ও ইয়োহানেস মিকেনবেকার তাদের অদ্ভুত আবিষ্কারগুলো ‘রিয়েল লাইফ গাইজ' নামে ইউটিউবেও ছেড়ে দিয়েছেন৷ কামাইও আসছে প্রচুর৷

https://p.dw.com/p/3SI8B
YouTube
ছবি: Reuters/D. Ruvic

উড়ন্ত বাথটাবে চড়ে রুটি আনতে যান ফিলিপ মিকেনবেকার! বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে বেশ সারা ফেলেছেন তিনি৷ শুধু তাই নয়, ভাই ইয়োহানেস মিকেনবেকারকে নিয়ে এমন সব মজার আবিষ্কার করে বেড়ান তিনি৷ ছেড়ে দেন ইউটিউবে৷ দুই ভাইয়ের ইউটিউব চ্যানেলের নাম ‘দ্য রিয়েল লাইফ গাইজ'৷

উড়ন্ত বাথটাবের মতো দ্য রিয়েল লাইফ গাইজের গোটা বিশেক এমন অদ্ভুত আবিষ্কার আছে৷ এরা দুই ভাই যমজ৷

ফিলিপ ও ইয়োহানেসের নতুন চ্যালেঞ্জ হলো বাচ্চাদের খেলনা গাড়ি দিয়ে সত্যিকারের গাড়ির সঙ্গে পাল্লা দেয়া৷ তাই খেলনাটির একটি ইঞ্জিন চাই৷ বরাবরের মতো ২২ বছর বয়সী দুই ছোকরা পুরো কাজটি নিজেরাই করছিলেন৷

‘‘আমরা কিছুই শিখে আসিনি৷ ইউটিউব টিউটোরিয়াল ও গুগল করে সব শিখেছি৷ শুরুতে বাবা কিছুটা সাহায্য করেছেন বাইসাইকেল ও আরো অনেক কিছু তৈরি করতে,'' বলেন ইয়োহানেস৷

ফ্রাঙ্কফুর্ট আম মাইনে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া গ্যারেজটিই এই যমজের ওয়ার্কশপ৷ প্যাডেল চাপা গাড়িটি যেন একজন প্রাপ্তবয়স্কের ওজন নিতে পারে, তাই একে স্টিলের কাঠামো দিয়ে মুড়িয়ে দিলেন তারা৷ যুক্ত করা হলো ব্যাটারি চালিত একটি ইঞ্জিন৷

‘‘আগেরবার এতটাই বিদ্যুৎ প্রবাহ বেড়ে গিয়েছিল যে কন্ট্রোলারটি বিস্ফোরিত হয়ে গিয়েছিল৷ তাই এবার এ পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রবাহ সামলাতে পারে অনেক খুঁজে এমন মোটর ও রেগুলেটর বসিয়েছি৷ এবার যখন পরীক্ষা করব, আশা করছি তেমনটি আর হবে না,'' ইয়োহানেস যোগ করলেন৷

২০১৬ সাল থেকে নিজেদের এমন নানা আবিষ্কারের ভিডিও ইউটিউবে পোস্ট করতে শুরু করেন এরা৷

বাথটাবে করে উড়ে বেড়ায় যে যমজ ভাই

ইতিমধ্যেই তারা তাদের বেশিরভাগ কাজের জন্য পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া শুরু করেছেন৷ এসব প্রকল্প দিয়ে রিয়েল লাইফ গাইজ চায় অন্যদেরও উদ্যোক্তা হতে অনুপ্রাণিত করতে৷

ইয়োহানেস বলেন, ‘‘অনেকেই কম্পিউটারের সামনে এমনিই সময় কাটান৷ ফলদায়ক কিছু করেন না৷ আমার কাছে ভার্চুয়াল জগতের সেসব অভিজ্ঞতার চেয়ে নিজে নিজে কিছু করা অনেক বেশি আনন্দের৷''

লাখ লাখ মানুষ তাদের ইউটিউব চ্যানেলটি দেখেন৷ এখন তাই জীবন চালাতে এখানেই পুরোটা সময় দিতে পারেন তারা৷ দু'জনই ছেড়েছেন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা৷ ব্যবহারিক শিক্ষা তাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷

তাদের আবিষ্কারের মধ্যে অ্যাডভেঞ্চারের বিষয়টি থাকে৷ কিছুদিন আগে ৩৬০ ডিগ্রি মোটরাইজড রকিং চেয়ার বানালেন তারা৷ এই যন্ত্রটিও বেশ সাড়া ফেলছিল৷

বানিয়েছেন সাবমেরিন৷ ফিলিপ বললেন, ‘‘সাবমেরিনটি আমাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বিপদজনক আবিষ্কার৷'' যোগ করেন, ‘‘এখানে একটি ছিদ্র আছে, কারণ পানি হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়তে পারে৷ আমি একে ধরে রাখি, তবে কাজ খুব একটা হয়না৷''

ফিলিপ আরো বলেরন, ‘‘আমরা কখনো কখনো বিপদজনক কাজ করি৷ তবে খেয়াল রাখি, কোনটা খুব ঝুঁকিপূর্ণ এবং সেক্ষেত্রে বিকল্প কী হতে পারে৷ যেমন, এখানে (সাবমেরিন চালানোর সময়) আমাদের সঙ্গে একজন ডুবুরি থাকেন৷ ভেতরে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও পেছনে একটি দড়ি লাগানো আছে৷ তাই আমাদের নিরাপত্তাও আছে৷''

বলতে বলতে পেডাল কার তৈরি করে ফেলেন দুই যমজ৷ এর ইঞ্জিনের ক্ষমতা ২০ অশ্বশক্তি৷ ইয়োহানেস তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে ৯০ অশ্বশক্তির একটি ছোট গাড়িতে চড়ে বসেন৷ কিন্তু পেডাল কার ছাড়িয়ে যায় সেই গাড়িকে৷

তবে এমন আইডিয়া মাথায় এলেই সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েন না এই দুই আবিষ্কারক৷ সময় নেন৷ যেমন এখন একটি উড়ন্ত গাড়ি তাদের মাথায় ঘুরছে৷

ক্রিস্টিনা লাউবে/জেডএ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য