1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুই কিশোরের জীবন বাঁচালো ড্রোন

১৯ জানুয়ারি ২০১৮

উত্তাল সমুদ্রে আটকে পড়া দুই কিশোর সাঁতারুর জীবন বাঁচিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার এক ড্রোন৷ সমুদ্রে ড্রোন দিয়ে এটিই প্রথম কারো জীবন বাঁচানোর ঘটনা৷

https://p.dw.com/p/2r7yh
সিডনি সৈকতের উপর নজর রাখছে ড্রোনছবি: Getty Images/AFP/P. Parks

বৃহস্পতিবার দুই কিশোর নিউ সাউথ ওয়েলেস ও কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের সীমান্তের কাছে লেনক্স হেড নামের একটি জায়গায় সাঁতার কাটছিলো৷ হঠাৎ সেখানে পানি ১০ ফুট পর্যন্ত ফুলে উঠতে থাকে৷

বিচে বেড়াতে যাওয়া লোকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে উদ্ধার অ্যালার্ম বাজিয়ে দেয়৷ সঙ্গে সঙ্গে পাইলট তাঁর উদ্ধারকারী ড্রোনকে কাজে লাগিয়ে দেন৷ ‘‘আমি তৎক্ষণাৎ ড্রোনটিকে জায়গামতো পাঠাই৷ এক থেকে দুই মিনিটের মধ্যে উদ্ধারের পডটি ফেলি৷’’ গোল্ড কোস্ট বুলেটিনকে বলেন লাইফগার্ড সুপারভাইজার জ্যায় শেরিডান৷

দুই কিশোর কিছুটা ভয় পেলেও ব্যথা পায়নি৷

সার্ফবোর্ড, অথবা রাবারের ডিঙিতে করে কাউকে বাঁচানোর চেয়ে উদ্ধারকাজে ড্রোনের ব্যবহার অস্ট্রেলিয়ায় বেশ সফলতা পাচ্ছে৷ এগুলো যে শুধু সাঁতারু বা সার্ফারদের চিহ্নিত করতে পারছে তা-ই নয়, হাঙর ও জেলিফিসদেরও চিহ্নিত করতে পারে এবং পানিতে থাকা মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে পারে৷ ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে হাজারো ছবি তুলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাঁটিয়ে নানা বস্তু চিহ্নিত করার ক্ষমতা আছে এই ড্রোনগুলোর৷ যেখানে খালি চোখ ১৬ ভাগ নিখুঁত, সেখানে ড্রোনগুলোর সফটওয়্যার ৯০ ভাগ নিখুতভাবে হাঙর বা সমুদ্রে থাকা কোনো কিছু চিহ্নিত করতে পারে৷

সার্ফিং এবং সাঁতার অস্ট্রেলিয়ায় খুবই জনপ্রিয়৷ তাই এসব করতে গিয়ে কারো জীবন যেন ঝুঁকিতে না পড়ে, সেজন্য দেশটিতে নানা কৌশল অবলম্বন করা হয়৷ তার একটি ড্রোনের ব্যবহার৷

দেশটির সর্বত্র ডজন ডজন ড্রোন উড়ছে শুধু মানুষের নিরাপত্তা দেবার জন্য৷

জেডএ/এসিবি (এএফপি)