1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুঙ্গার উত্তরসূরি নতুন কোচ মানো মেনেজেস

২৫ জুলাই ২০১০

দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেই বিদায় নিতে হয় কোচ দুঙ্গাকে৷ শুরু হয় সম্ভাব্য কোচ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা৷ ব্রাজিলীয় ফুটবল কনফেডারেশন - সিবিএফ দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর অবশেষে চূড়ান্ত করল মানো মেনেজেসের মনোনয়ন৷

https://p.dw.com/p/OUAL
বিশ্বকাপ শেষে বিষন্ন মুখে বিদায় নিচ্ছেন দুঙ্গাছবি: AP

পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল৷ গোটা বিশ্বের কোটি কোটি ভক্তের আশা ছিল, ২০১০ এর বিশ্বকাপে তাদের মুকুটে যোগ হবে আরেকটি পালক৷ কাকা, রবিনহোর পাশাপাশি সবার দৃষ্টি ছিল কোচ কার্লোস দুঙ্গার দিকে৷ কিন্তু হায়, শিরোপা তো বহুদূর, কোয়ার্টার ফাইনালেই নকড আউট৷ ফলে তারকাদের চেয়ে বেশি করে ক্ষোভ এসে পড়ে কোচ দুঙ্গার উপর৷ দেশে ফিরেই বিদায় ঘণ্টা শুনতে হয় দুঙ্গাকে৷

ফলে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের আসরে স্বাগতিক দলের কোচ খোঁজা শুরু হয়৷ সম্ভাব্য তিনজনের তালিকা নিয়ে কাজ শুরু করে সিবিএফ৷ এই তালিকায় ছিলেন সাবেক কোচ লুইস ফেলিপে স্কলারিও৷ ২০০২ এর বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে শিরোপা এনে দিয়েছিলেন স্কলারিও৷ কিন্তু স্কলারিও বর্তমানে পামেইরাসের সাথে চুক্তিবদ্ধ ২০১২ সাল পর্যন্ত৷ ফলে অবশেষে চূড়ান্ত হলো করিন্থিয়ান কোচ মানো মেনেজেসের মনোনয়ন৷

৪৮ বছর বয়সি মেনেজেস গ্রহণ করেছেন সিবিএফ-এর প্রস্তাব৷ সোমবারই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে মেনেজেসের নাম৷ কারণ ১০ আগস্ট নিউজার্সিতে রয়েছে আমেরিকার সাথে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ৷ আর সোমবারই শেষ দিন ঐ ম্যাচের জন্য দল ঘোষণার৷ ২০০৫ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত গ্রেমিও'র কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মেনেজেস৷ ২০০৯ সালে কোরিন্থিয়ানসদের ঘরে এনে দেন ব্রাজিলীয় কাপ৷

গুরুদায়িত্ব গ্রহণের পর মেনেজেসের সামনে রয়েছে আর্জেন্টিনায় ২০১১ সালের কোপা আমেরিকা৷ আর তারপর ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকস৷ সাওপাওলো সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মেনেজেস বলেন, ‘‘পছন্দের তালিকার শীর্ষে ছিলাম না তাতে আমার কিছুই আসে যায় না৷ ব্রাজিলের রয়েছে ৩০, ৪০, ৫০ জন বড় বড় কোচ৷ তাই তাদের মধ্যে আমি যদি দুই নাম্বারে থাকি, সেটাই আমার জন্য যথেষ্ট৷''

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: জাহিদুল হক