দুর্গাপুজো শেষ, এবার বিসর্জন

পাঁচদিনের জন্য ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি এসেছিলেন  মা দুর্গা। তারপর আবার কৈলাশে স্বামীর  কাছে চলে যাওয়া। পাঁচদিনের উৎসব শেষ। বিসর্জনের আগে বিদায় জানানো হচ্ছে মা-কে।

উত্তর কলকাতায় দেবীকে বিদায় জানাচ্ছেন মেয়েরা।

দশমীতে আগে মণ্ডপে হয় দর্পণ বিসর্জন। তারপর হয় গঙ্গা বা অন্য কোথাও জলে প্রতিমা বিসর্জন।

করোনার কারণে এই বছর প্রশাসনের নির্দেশে কলকাতায় সিঁদুর খেলা বন্ধ ছিল। কিন্তু প্রতিমা বিসর্জনের আগে কিছু জায়গায় অল্প সিঁদুর খেলা হয়েছে।

গঙ্গার ঘাটেও সিঁদুর খেলার ছবি দেখা গেছে।

বিসর্জনের সময় মেয়েদের উপস্থিতি ছিল যথেষ্ট। তারা শোভাযাত্রা করে গেছেন। ঘট বহন করেছেন। এবছর শেষবারের মতো বিদায় জানিয়েছেন উমাকে।

কলকাতায় অন্যতম পুরনো বনেদিবাড়ির পুজো হলো শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো। প্রতিমা বের করে নিয়ে আসা হচ্ছে রাস্তায়। বাহকদের কাঁধে চেপে বের হচ্ছে প্রতিমা।

গঙ্গার ঘাটে এলো শোভাবাজার রাজবাড়ির প্রতিমা। এবার তা ওঠানো হবে নৌকায়।

শোভাবাজার রাজবড়ির পুজোর বিসর্জন হয় অন্যভাবে. গঙ্গায় দুইটি নৌকায় প্রতিমা নেয়া হয়। নৌকা যায় মাঝগঙ্গায়।

তারপর দুই নৌকা সরে যায়। প্রতিমা নিরঞ্জন হয় গঙ্গায়। এই রীতিতেই প্রতিবার বিসর্জন হয় শোভাবাজার রাজবাড়ির প্রতিমা।

কলকাতার গঙ্গার ঘাটে একের পর এক প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হলো। পাঁচদিনের উৎসব শেষ। চোখের জলে উমাকে বিদায়ের পর্ব।

এই বছরের মতো শেষ দুর্গাপুজো। এবার অপেক্ষা পরের বছরের উৎসেবর জন্য। উমা আবার আসবেন পিতৃগৃহে। ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা। আর প্রতিটি বিসর্জনের শোভাযাত্রায় একটাই ধ্বনি ছিল, 'আসছে বছর, আবার হবে'।