1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুর্নীতি প্রশ্নে মৌনমুখর প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১

দুর্নীতি ও অন্যান্য ইস্যুতে বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার জবাব দিতে এবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং৷ বার্তা দিলেন দুর্নীতির মোকাবিলায় সরকারের কঠোর অবস্থানের৷

https://p.dw.com/p/10Hjy
মনমোহন সিংছবি: Fotoagentur UNI

বিভিন্ন কেলেঙ্কারির অভিযোগে সরকার জেরবার৷ বিরোধীদের আক্রমণে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর পিঠ ঠেকেছে দেয়ালে৷ তাই সংসদের বাজেট অধিবেশনের আগে ঘুরে দাঁড়াতে বিভিন্ন বিতর্কিত ইস্যুতে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং আজ তাঁর বাসভবনে মুখোমুখি হলেন টেলিভিশন সংবাদমাধ্যমের এডিটরদের৷ প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয় টু-জি স্পেকট্রাম, কমনওয়েলথ গেমস,আবাসন কেলেঙ্কারি, মহাকাশ গবেষণা সংস্থার এস-ব্যান্ড বিতর্ক, মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, মন্ত্রীসভার রদবদল এবং এমন কী প্রশাসনিক শৈথিল্যে প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফার সম্ভাবনা নিয়ে৷

দুর্নীতির প্রশ্নে কড়া বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন, অভিযুক্তদের কাউকে রেহাই দেয়া হবেনা৷ শাস্তি পেতেই হবে৷ টু-জি স্পেকট্রাম বণ্টন সম্পর্কে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, তৎকালীন টেলিকম মন্ত্রী এ.রাজাকে এবিষয়ে তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন৷ কিন্তু স্পেকট্রাম বণ্টন নীলাম না করে আগে এলে আগে পাবে এই নিয়ম অর্থ, টেলিকম মন্ত্রণালয়, টেলিকম নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ও টেলিকম কমিশন অনুমোদন করায় তিনি তা নিয়ে আর কিছু বলেন নি৷ শুধু যৌথ সংসদীয় কমিটি কেন কোন কমিটির সামনে দাঁড়াতে তিনি ভীত নন৷ অনিয়মের জন্য অনেকটা দায়ী জোটধর্মের বাধ্যবাধকতা৷ রাজাকে টেলিকম মন্ত্রী করা হয় কার্যত সেই কারণেই বলেন ড. সিং৷

দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা প্রসঙ্গে সন্ত্রাসবাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রস্তুত৷ আসামের আলফা জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তি আলোচনাকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ড. সিং বলেন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পরিস্থিতি অনেক স্বাভাবিক৷ কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে৷ সাধারণ মানুষ উন্নয়ন চায়৷ কর্মসংস্থান চায়৷

মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য বিশেষ করে খাদ্যসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রবৃদ্ধি বজায় রেখে মুদ্রাস্ফীতি কমানোর চেষ্টা হচ্ছে৷ মুদ্রাস্ফীতির পেছনে আন্তর্জাতিক কারণ থাকে৷

মুচকি হেসে শেষ কথাটি জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী যে, যত বাধাবিপত্তি আসুক না কেন তাঁর ইস্তফা দেয়ার প্রশ্ন নেই৷ অনেক কাজ বাকি৷

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে এক দুর্বল ও অসহায় সরকারের জবাব বলে কটাক্ষ করেছে বিরোধী বিজেপি৷ টু-জি স্পেকট্রাম জোটধর্মের জন্য হলে অন্য সব কেলেঙ্কারির জন্য কে দায়ি৷ নিজেদের অকর্মণ্যতা ঢাকার এটা ব্যর্থ চেষ্টামাত্র৷ সিপিআই-এম বলেছে দুর্নীতি দমন ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এর থেকে বেশি কিছু করা সম্ভব নয় – প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দুর্ভাগ্যজনক৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন