1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুর্যোগ থেকে বাঁচাবে মুঠোফোন ও ফেসবুক-টুইটার

৭ মে ২০১১

ভুমিকম্প প্রবণ মেক্সিকো সিটির প্রশাসন, মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে দুর্যোগের সতর্কবার্তা পাঠানোর পদক্ষেপ নিচ্ছে৷ প্রত্যাশা, এর ফলে আরো বেশি মানুষকে ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বাঁচানো যাবে৷

https://p.dw.com/p/11B6S
ছবি: Picture-Alliance/dpa

হ্রদের উপর গড়ে উঠেছে প্রায় দুই কোটি মানুষের জনপদ মেক্সিকো সিটি৷ ১৯৮৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৮.১ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পের কবলে পড়ে এই শহরটি৷ মানুষ যখন কাজে যোগ দিতে কিংবা বিদ্যালয়ে যেতে বের হচ্ছিল এমন সময়ই ভূমিকম্পের আঘাতে একাকার হয়ে যায় গোটা শহর৷ এতে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে৷ সেই ঘটনাকে সামনে রেখে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকেই মেক্সিকো সিটির প্রশাসন চালু করতে চায় মোবাইল ফোন এবং ফেসবুক, টুইটারের মতো মাধ্যমগুলোতে সতর্কবার্তা প্রেরণের কার্যক্রম৷

এখন পর্যন্ত ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগের সতর্কতার জন্য সাইরেন এবং রেডিও ব্যবহার করা হয়৷ কিন্তু অনেকেরই অভিযোগ যে, দূরবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দারা এই সাইরেন শুনতে পায় না৷ তাছাড়া বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের ক্ষয়ক্ষতির মাত্রাও হ্রাস করতে চায় নগর কর্তৃপক্ষ৷ সেজন্য সিটি মেয়র মারসেলো এবরার্ড ঘোষণা দিলেন, ‘‘আমি মনে করি এই নতুন দুর্যোগ বার্তা প্রেরণের কাজ শীঘ্রই চালু করতে পারবো৷ কারণ এটা খুব জটিল কাজ নয়৷''

২০১২ সালে আসন্ন নির্বাচনে অন্যতম পদপ্রার্থী এবরার্ড সাংবাদিকদের বললেন, ‘‘সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই আমরা এটি শুরু করতে চাই৷'' মেয়র এবরার্ড নিজেও একজন সক্রিয় টুইটার ব্যবহারকারী৷ ভূমিকম্পের আঘাত আসলে কিংবা বন্যার পানিতে নগরী ডুবে গেলে টুইটারের মাধ্যমে তিনি তৎক্ষণাৎ নাগরিকদের সাথে যোগাযোগ করেন৷ যাহোক, নগর প্রশাসন এখন মোবাইল সেবা দাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করছে বলে জানান মেয়র৷ তবে কোন কোন প্রতিষ্ঠান মোবাইল ফোনে দুর্যোগের সতর্কবার্তা পাঠানোর সেবা দিতে এগিয়ে আসছে তা বিস্তারিত জানাননি তিনি৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা