1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দূর থেকে চেনা বার্লিনে নতুন রূপে ফিরছেন চীনা শিল্পীরা

১৯ ডিসেম্বর ২০১০

আন্তর্জাতিক শিল্পীদের কাছে বার্লিন এক দুর্বার আকর্ষণ৷ গত এক শতকে নানা সময় বার্লিনে তাই ভীড় জমিয়েছেন বিভিন্ন দেশের খ্যাত-অখ্যাত শিল্পীরা৷ কিন্তু ইদানিং চীনা চিত্রশিল্পীদেরও আনাগোনা বাড়ছে জার্মানিতে৷

https://p.dw.com/p/Qfhk
china, berlin, art, germany, চীন, বার্লিন, চিত্র, শিল্পী, জার্মানি
ছবি: Cinnamon Nippard

২০০৬ সালে চীনা শিল্পী শু বাইহং'এর এক চিত্রকর্ম নতুন রেকর্ড গড়েছিল৷ পঞ্চাশ লাখ ইউরোতে বিক্রি হয়েছিল ‘‘স্লেভ এন্ড লায়ন'' নামক শু'র সৃজনশীল কাজটি৷ বলাবাহুল্য এই বিক্রি দিয়ে তেমন একটা লাভ হয়নি শু'র৷ কেননা, ১৯৫৩ সালেই মারা যান তিনি৷ তবে, বিশ্ব বাজারে চীনা শিল্পীদের আরো একবার সুখ্যাতি এনে দিয়েছে শু'র এই চিত্রকলা৷

জার্মানির জরিপ বলছে, ইদানিং বার্লিনে চীনা ছাত্রছাত্রীদের আধিক্য বাড়ছে৷ এদের মধ্যে অনেকেই কলাবিভাগের শিক্ষার্থী৷ তাঁরা মনে করছেন, বেইজিং-এর চেয়ে বার্লিনেই অনেক স্বাধীনভাবে শিল্পচর্চা সম্ভব৷

ডুয়ান ইয়াফেং জার্মানির রাজধানীতে এসেছেন এক বছর হলো৷ চীনে চারুকলা বিষয়ে পড়েছেন তিনি৷ এখানেও ভর্তি হয়েছেন বিশ্বখ্যাত বাউহাউস ডিজাইন স্কুলে৷ তিনি জানালেন, আমি মনে করি প্রত্যেক শিল্পীরই কোন না কোন সময় এখানে আসা উচিত৷ এখানে কাজের সুযোগ অন্য যেকোন জায়গার চেয়ে বেশি, চারদিকে অনেক গ্যালারি এবং এখানে অনেক মানুষ আছেন যারা সত্যিই অসাধারণ কাজ করছেন৷

চীনের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে জার্মানির অনেক ব্যবধানও খুঁজে পান ডুয়ান৷ তাঁর মতে, বৈচিত্র্যময় আর নিত্যনতুন চিন্তা ভাবনার চর্চার জন্য আদর্শ জায়গা হচ্ছে বার্লিন৷ ডুয়ান জানান, আমি যখন চীনে শিক্ষা নিয়েছি, তখন কিছু একটা বাদ পড়ছে মনে হচ্ছিল৷ বাউহাউসে আমরা সেই বাদ পড়া বিষয়গুলো খুঁজে পেয়েছি৷ আমরা জানছি কীভাবে মিউজিয়াম কাজ করে, কোন ধরনের প্রদর্শনী আমরা করতে পারি আর কীভাবে আমি আমার কর্মক্ষেত্রে সেরা সাফল্যটা দেখাতে পারি৷ এগুলো চারুকলার এক ভিন্ন শিক্ষা৷

উল্লেখ্য, বার্লিনে চীনা শিল্পীদের আনাগোনা একেবারে নতুনও বলা যাবে না৷ সেই ১৯২০ কিংবা ৩০ দশকেও বার্লিনে চীনা শিল্পীদের আনোগানা ছিল অনেক৷ কিন্তু মাঝে নাৎসি জামানার উত্থানে জার্মানি ছাড়তে হয়েছিল অনেক শিল্পীকে৷ এখন আবার চীনা শিল্পীদের জন্য জার্মানিতে সুদিন ফিরতে শুরু করেছে৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক