1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘দেশে থেকেও উচ্চ মানের গবেষণা সম্ভব’

মানুয়েলা কাসপার ক্ল্যারিজ/এসবি১২ এপ্রিল ২০১৪

‘ব্রেন-ড্রেন’ নিয়ে বাংলাদেশ বা ভারতের মতো দেশে বিতর্ক কম নয়৷ সেরা মগজ দেশের বদলে বিদেশের কাজে লাগলে দুঃখ হতেই পারে৷ জার্মানির এক নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী তাঁর মৌলিক গবেষণার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকেও প্রেরণা যোগাতে চান৷

https://p.dw.com/p/1BgAZ
ভল্ফগাং কেটারলেছবি: DW

আমাদের এই পৃথিবীটাকে কী করে আরও ভালো করে তোলা যায়? ২০১৪ সাল ডাভোস সম্মেলনে এটাই ছিল মূল প্রশ্ন৷ বিজ্ঞানীদেরই মূলত এমন প্রশ্ন করা হয়৷ নোবেলজয়ী জার্মান বিজ্ঞানী ভল্ফগাং কেটারলেও মনে করেন, এটাই স্বাভাবিক৷ তিনি বললেন, ‘‘বিজ্ঞান নতুন প্রযুক্তির ভিত্তি তৈরি করে৷ যেখানেই ভবিষ্যতের জন্য সমাধানসূত্র খোঁজা হয়, সেখানেই বিজ্ঞান উপস্থিত৷''

১৯৯০ সালে কেটারলে বৃত্তি নিয়ে বিদেশে যান৷ তিনি বলেন, ‘‘পোস্ট ডক্টরেট করতে অ্যামেরিকায় যাই৷ তারপর সেখানেই দারুণ এক চাকরি পেলাম৷ আজও সেখানেই আছি৷ আসলে জীবনে কত যে কাকতালীয় ঘটনা ঘটে! ঘর ছেড়ে বেরিয়ে মানুষ কখনো কোথাও আটকে পড়ে৷''

বস্টনের এমআইটি-তে এভাবেই ‘আটকে পড়েছিলেন' কেটারলে৷ সেখানে তাঁর গবেষণার বিষয় অতি শীতল তাপমাত্রায় পদার্থের অবস্থা, যার মধ্যে নতুন গুণাগুণ দেখা যায়৷ তিনি এমন এক গ্যাস তৈরি করেছিলেন, যার মধ্যে ঘর্ষণ ছাড়াই পার্টিকেল নড়াচড়া করে৷ হাতে গোনা কয়েকজন এমন কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন৷ ফলে আইনস্টাইনের তত্ত্ব যে সঠিক, তার প্রমাণ পাওয়া গেল৷ তিনি বলেন, ‘‘মৌলিক গবেষণার একটা রোমাঞ্চ রয়েছে৷ কয়েক বছর পর পরই এমন সব ঘটনা ঘটে, যখন মনে হয় – এও কি সম্ভব?''

কেটারলের গ্যাসের বাস্তব প্রয়োগও সম্ভব, যেমন বিদ্যুৎ পরিবহনের ক্ষেত্রে৷ ল্যাবে বিশেষ তারের মধ্যে কোনো অপচয় ছাড়াই বিদ্যুৎ পাঠানো যাচ্ছে৷ এই গ্যাস ভবিষ্যতে হয়ত চুম্বকের মতো ট্রেনে গতি আনতে পারবে৷ এমন বৈপ্লবিক গবেষণা কি শুধু অ্যামেরিকায়ই সম্ভব? জার্মানিতেও কি তা সম্ভব হতো? কেটারলে বলেন, ‘‘জার্মানিতে গবেষণার মান সর্বোচ্চ, অবকাঠামোও ভালো৷ বেশ কিছু উদ্যোগের ফলে অনেক উন্নতি হয়েছে৷ বিশেষ করে আমার কাজের ক্ষেত্রে জার্মানিতে ল্যাবের সরঞ্জামের মান এমনকি আমার নিজের ল্যাবের তুলনায় হয়ত ভালো৷''

জার্মানির রাজনীতি ও বিজ্ঞান জগত সেরা গবেষকদের দেশে ফেরার উৎসাহ দিতে অনেক কিছু করছে৷ যেমন তাঁদের আলেক্সান্ডার ফন হুমবল্টের নামাঙ্কিত অধ্যাপকের পদ দেয়া হচ্ছে৷ ফলে উৎসাহও বাড়ছে৷ কেটারলে বলেন, ‘‘যে সব বিজ্ঞানী বিদেশে যান, তাঁদের একটা সামান্য অংশ সেখানে থেকে যান৷ বেশিরভাগই দেশে ফেরেন৷ আমিও সেটাই করতাম৷ দুই-তিন বছর পর জার্মানিতে ফিরতাম৷ তবে জীবনে কত কী ঘটে! আমার জীবনটাও অন্যদিকে মোড় নিল৷''

তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পদার্থবিদ্যা সম্পর্কে এমন উৎসাহ দেখতে চান কেটারলে৷ তরুণ গবেষকদেরও তো উঠে আসতে হবে! তাঁর মতে, সংবাদমাধ্যমও এ কাজে সাহায্য করতে পারে৷ কেটারলে বলেন, ‘‘পদার্থবিদ্যা বা বিজ্ঞান সংক্রান্ত কোনো অনুষ্ঠান অনেক সময় চলচ্চিত্রের চেয়েও বেশি মজার ও রোমাঞ্চকর হয়ে উঠতে পারে বলে আমি মনে করি৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য