1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাষ্ট্রকে টাকা দেবে না মেক্সিকো

২৬ জানুয়ারি ২০১৭

যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল গড়ার নির্বাহী আদেশে সই করে ট্রাম্প বলেন, ‘‘শতভাগ টাকা মেক্সিকোকে দিতে হবে৷'' কিন্তু মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিকে পেনা নিয়েতো স্পষ্ট জানান, দেয়াল নির্মাণে তারা কোনো টাকা দেবে না৷

https://p.dw.com/p/2WQFE
Grenzanlagen USA Mexiko
ছবি: Reuters/J. Duenes

যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল গড়ার নির্বাহী আদেশে সই করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘শতভাগ টাকা মেক্সিকোকেই দিতে হবে৷'' কিন্তু মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিকে পেনা নিয়েতো স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর দেশ দেয়াল নির্মানে কোনো টাকা দেবে না৷

ট্রাম্প নির্বাচনের আগে বহুবার, বহু ভাষণেই বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হলে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধির স্বার্থে মেক্সিকো সংলগ্ন সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ করা হবে৷ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত অবৈধ মেক্সিকানদের ফেরত পাঠানোর অঙ্গীকারও করেছিলেন তিনি৷ গত ২০ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ট্রাম্প৷ আর বুধবার, অর্থাৎ শপথ নেয়ার চারদিন পরই দেয়াল নির্মাণের জন্য নির্বাহী আদেশে সই করলেন রাজনীতিতে এসে বলতে গেলে রাতারাতিই প্রেসিডেন্ট হয়ে যাওয়া এই ধনকুবের৷ বুধবার নির্বাহী আদেশে সই করেই থেমে থাকেননি৷ এবিসি নিউজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রায় ৩২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ দেয়ালের নির্মাণব্যয়ের সম্ভাব্য উৎস সম্পর্কেও কথা বলেছেন৷ সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, দেয়াল নির্মাণের পুরো টাকাটাই মেক্সিকোকে দিতে হবে৷

যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত

দেয়াল নির্মাণে ১৫ থেকে ২৫ বিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো এই বিপুল পরিমান অর্থ দেবে কিনা, দিলে কীভাবে, কতদিনে দেবে – এই নিয়ে আলোচনাটা জমে ওঠার আগেই ট্রাম্পকে জবাব দিয়েছেন এনরিকে পেনা নিয়েতো৷ নিজের আগের বক্তব্য স্মরণ করিয়ে দিয়েই তিনি বলেছেন, ‘‘আগে বলেছি, এখনো বলছি, কোনো দেয়ালের জন্যই মেক্সিকো টাকা দেবে না৷''  তিনি আরো বলেন, ‘‘একটি পূর্ণ সার্বভৌম দেশ হিসেবে মেক্সিকো অন্য দেশকে সম্মান দেয় এবং (অন্য দেশের কাছ থেকেও) সেই সম্মান দাবি করে৷''

আগামী ৩১ ডিসেম্বর ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য এনরিকে পেনা নিয়েতোর ওয়াশিংটন ডিসিতে যাওয়ার কথা৷ কিন্তু ট্রাম্প তড়িঘড়ি দেয়াল নির্মাণের নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করায় নিয়েতোর এ সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে৷ মেক্সিকোর সংসদ সদস্যদের একাংশ মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে নিয়েতোর যুক্তরাষ্ট্রে না যাওয়াই ভালো৷

এদিকে মেক্সিকো অর্থ না দিলে খুব শিগগির দেয়াল নির্মাণ করা সম্ভব হবে কিনা এই প্রশ্নটিও ইতিমধ্যে বড় হয়ে উঠেছে৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প নির্বাহী আদেশে সই করলেই এত বিপুল পরিমান অর্থ আদায় হয়ে যাবে এবং অর্থ আদায়ের পরই ২০০০ মাইল দীর্ঘ দেয়াল দ্রুত নির্মাণ করা হয়ে যাবে –লব্যাপারটি এত সহজ নয়৷ তাঁদের মতে, অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি কংগ্রেসের অনুমোদনসাপেক্ষ এবং সেখানে অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা প্রশ্নাতীত নয়৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

বন্ধু, আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান