1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দ্বিতীয়বার চুক্তিভঙ্গের ঘোষণা ইরানের

৭ জুলাই ২০১৯

তেহরান বলছে যে তারা পরমাণু চুক্তিতে বেধে দেয়া ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার সীমা আবারো অতিক্রম করছে৷ এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার চুক্তিভঙ্গের ঘোষণা দিল ইরান৷

https://p.dw.com/p/3LhqB
Die iranische Flagge vor der Zentrale der Internationalen Atomenergie-Organisation (IAEO) in Wien
ছবি: Reuters/L. Foeger

রোববার ইরান সরকারের মুখপাত্র আলি রাবিয়েই তেহরানে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চুক্তিতে বেধে দেয়া সীমা ‘আজ আমরা অতিক্রম করব'৷ এর বেশি কোনো তথ্য তিনি দেননি৷ চুক্তিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের এই সীমা ৩.৬৭%৷

তেহরান চায় তাদের ওপর মার্কিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হোক৷ সেজন্য তারা ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্যসহ অন্য যেসব দেশ পরমাণু চু্ক্তিতে স্বাক্ষর করেছে, তাদের ওপর চাপ দিচ্ছে৷ তারা এখন হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যতদিন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা না উঠবে ততদিন তারা চুক্তির সীমা অতিক্রমের হার বাড়াতে থাকবে৷ প্রতি ৬০ দিন পরপর তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার হার বাড়াবে৷

জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ইরানকে তিন দশমিক ৬৭ মাত্রার তিন'শ কিলোগ্রাম পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল৷ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য রাষ্ট্র ও জার্মানিসহ মোট ছয়টি দেশের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর হয়৷

গত বছর ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন৷ তার দাবি, চুক্তিতে ত্রুটি আছে৷ ইরানের ওপর কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র৷ এতে ইরানের অর্থনীতি টালমাটাল হয়ে পড়ে৷

মার্কিন অবরোধের বিষয়ে ফয়সালা করতে চুক্তিতে অংশগ্রহনকারী বাকি দেশগুলোকে সর্বমেষ ৬০ দিন সময় দিয়েছিল ইরান৷ সেই সময় শেষ হয়েছে রোববার৷

এদিকে, সম্প্রতি ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মাঝে বৈরিতা সম্প্রতি আরো বেড়েছে৷ কয়েকটি ঘটনায় দু'দেশের মাঝে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে৷ গত মাসে একটি মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করলে ইরানের ওপর আবারো কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ট্রাম্প৷ এমনকি বিমান হামলার প্রস্তুতি নিয়েও শেষ মুহূর্তে সরে আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷

জেডএ/কেএম (এপি, রয়টার্স)