1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দ্বৈত নাগরিকত্বের সংখ্যা বেড়েছে জার্মানিতে

১০ আগস্ট ২০১৮

কোনো ব্যক্তি যদি জার্মানির নাগরিক হতে চান সাধারণত তাঁকে তাঁর নিজ দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হয়৷ কিন্তু কয়েকটি দেশ নাগরিকত্ব ত্যাগের বিষয়টি কঠিন করে দেয়ায় জার্মানি তাদের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নিয়ম করেছে৷

https://p.dw.com/p/32wyS
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/McPHOTO

এই ব্যক্তিরা সেক্ষেত্রে দু'টি পাসপোর্ট রাখতে পারবেন৷ আর এতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জার্মানিতে দ্বৈত নাগরিকত্বের হার বেড়েছে

জার্মানির ফেডারেল পরিসংখ্যান অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ১ লাখ ১২ হাজার ২শ' ১১ জন ইউরোপীয় ও শরণার্থী অভিবাসী জার্মান নাগরিকত্ব পেয়েছেন৷ তার মধ্যে ৬৮ হাজার ৯শ' ১৮ জন বা প্রায় ৬১ ভাগ তাদের নিজ দেশের নাগরিকত্বও বহাল রাখার সুযোগ পেয়েছেন৷

পরিসংখ্যান অফিসের বরাত দিয়ে শুক্রবার জার্মান সংবাদপত্র ডি ভেল্ট এমন খবর প্রকাশ করেছে৷

এই শতাব্দির শুরুতে জার্মানিতে দ্বৈত নাগরিকের হার ৪৫ ভাগের নীচে ছিল৷ ২০১৩ সাল থেকে এই হার ব্যাপকহারে বেড়েছে৷

জার্মান আইন সাধারণত দ্বৈত নাগরিকত্ব নিরুৎসাহিত করে৷ কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নাগরিকরা চাইলে এই ব্লকের ভেতরে দ্বৈত নাগরিকত্ব বহাল রাখতে পারেন৷ ২০১৭ সালে যারা দ্বৈত নাগরিকত্ব পেয়েছেন, তাদের মধ্যে ৩৯ হাজার ইইউ রাষ্ট্রগুলোর নাগরিক৷ এই ব্লক থেকে ৯৯ ভাগ আবেদনকারীই দ্বৈত নাগরিকত্ব চেয়েছেন ও পেয়েছেন৷

এছাড়া শরণার্থীদের মধ্যেও দ্বৈত নাগরিকত্বের হার ব্যাপকভাবে বেড়েছে৷ ডি ভেল্টের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছর ইরান (২,৬৮৯), সিরিয়া (২,৪৭৯), আফগানিস্তান (২,৪০০), মরক্কো (২,৩৯০), টিউনিশিয়া (১,১২৫), আলজেরিয়া (৪৬২), লেবানন (১,২৯৪) ও নাইজেরিয়া (৯৫৪)-র নাগরিকদের মধ্যে যাদেরই জার্মান নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে সবাই দ্বৈত নাগরিকত্ব পেয়েছেন৷

তবে ইরাকের ৩,৪৮০ জনের মধ্যে ৮৮ জনকে ইরাকি পাসপোর্ট রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে৷

এই হার বাড়ার অন্যতম কারণ হলো, অনেক দেশেই নাগরিকত্ব ছেড়ে দেয়া অনেক কঠিন৷ এসব দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান, সিরিয়া, লেবানন, ইরিত্রিয়া, ইরান, নাইজেরিয়া, মরক্কো, আলজেরিয়া ও টিউনিশিয়া৷

সাম্প্রতিককালে জার্মানিসহ ইউরোপে শরণার্থীদের ঢল বাড়ায় দ্বৈত নাগরিকত্বের হার বেড়েছে৷ এছাড়া, আগামী দিনে জার্মানিতে আশ্রিত, কিন্তু নাগরিক নন এমন  শরণার্থীদের ঘরে নতুন শিশু জন্ম নিলে এই হার আরো বাড়বে৷

চেজ উইন্টার/জেডএ