1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দ্রুত বাড়ছে চীনের পরমাণু অস্ত্র: অ্যামেরিকা

৪ নভেম্বর ২০২১

চীনের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে পেন্টাগনের রিপোর্ট। মার্কিন প্রশাসন চিন্তায়।

https://p.dw.com/p/42Ygq
পেন্টাগন
ছবি: Reuters/J. Lee

বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে পেন্টাগনের একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। যা নিয়ে কংগ্রেসে রীতিমতো সাড়া পড়ে গেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দাদের ধারণা, অ্যামেরিকার চেয়ে অনেক দ্রুত গতিতে চীন পরমাণু অস্ত্রের সম্ভার বৃদ্ধি করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে তারা অ্যামেরিকাকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

সম্প্রতি চীন একটি মিসাইলের পরীক্ষা করেছে। গোটা পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে পারে যে মিসাইল। তারপরেই নিজেদের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল অ্যামেরিকা। সেই ঘটনার পরপরই কংগ্রেসে পেশ করা হলো পেন্টাগনের রিপোর্ট।

পেন্টাগনের দাবি, মার্কিন গোয়েন্দারা গত এক বছর ধরে চীনের পরমাণু অস্ত্রের সম্ভার নিয়ে তদন্ত করেছে। তাদের বক্তব্য, প্রতিবছর দ্বিগুণ হারে চীন নানা পাল্লার পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে যা এক হাজারে পৌঁছে যাবে বলে মনে করছে পেন্টাগন। এত বেশি পরমাণু অস্ত্র অ্যামেরিকা এবং রাশিয়া ছাড়া আর কারো হাতে নেই। পরমাণু চালিত ব্যালেস্টিক  মিসাইলও চীন দ্রুত গতিতে তৈরি করছে বলে পেন্টাগনের অনুমান।

জল-স্থল-আকাশ

চীনেরকাছে জল, স্থল এবং আকাশ থেকে ছোঁড়ার মতো পরমাণু অস্ত্র আছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। এপর্যন্ত যা কেবল অ্যামেরিকা এবং রাশিয়ার কাছেই আছে। শুধু তাই নয়, ইন্টারকন্টিনেন্টাল বা এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে ছোঁড়ার মতো পরমাণু অস্ত্রও এখন চীনের অস্ত্রভান্ডারে আছে।

পেন্টাগনের বক্তব্য, মিসাইল ছোঁড়ার জন্য চীন অন্তত তিনটি নতুন ফিল্ড তৈরি করছে। মাটির গভীরে তৈরি সেই ফিল্ডগুলি থেকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল পরমাণু অস্ত্র ছোঁড়া সম্ভব।

কেন এই সম্ভার

পেন্টাগনের বক্তব্য, আক্রমণের জন্য চীন এভাবে পরমাণু শক্তি বৃদ্ধি করছে না। তারা শক্তির পরীক্ষায় অ্যামেরিকা এবং রাশিয়াকে টেক্কা দিতে চাইছে। ক্ষমতার ভারসাম্যে নিজেদের ওজন অনেকটা বাড়িয়ে নিতে চাইছে। পাশাপাশি অ্যামেরিকার উপর চাপ তৈরি করে রাখতে চাইছে। চাইলে তারাও যে সমান শক্তি নিয়ে আক্রমণ চালাতে পারে, সেই বার্তা দিয়ে রাখছে।

প্যাসিফিক শক্তি ভারসাম্য

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীন গত কয়েকবছর ধরেই শক্তিবৃদ্ধি করছে। একদিকে চীনের নৌবহরকে যেমন ঢেলে সাজানো হচ্ছে, তেমনই ওই অঞ্চলে নিজেদের শক্তিবৃদ্ধি করছে চীন। এ নিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল।বাইডেন আসার পরেও এবিষয়ে সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। অ্যামেরিকা এবং যুক্তরাজ্য অস্ট্রেলিয়ার সামরিক শক্তি উন্নত করার চেষ্টা করছে। অস্ট্রেলিয়াকে পরমাণু লঞ্চার সমেত সাবমেরিন দেওয়া হচ্ছে। যার অর্থ, প্যাসিফিকে অ্যামেরিকার ক্ষমতা বাড়ানো। ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে জোট গঠনেরও চেষ্টা করছে অ্যামেরিকা। চীনের পরমাণু শক্তি বৃদ্ধির পিছনে প্যাসিফিকও একটি বড় কারণ বলে মনে করছে পেন্টাগন।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)