1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ধর্মকে রাজনৈতিক ফায়দা লাভের জন্য সব দলই ব্যবহার করে’

২ এপ্রিল ২০২১

ইউটিউবে ডয়চে ভেলে বাংলার ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা বৃদ্ধির প্রসঙ্গে এমনটাই বললেন পলিটিক্যাল অ্যাক্টিভিস্ট অজন্তা দেব রায়৷

https://p.dw.com/p/3rXJD
DW Khaled Muhiuddin Asks 058
ছবি: DW

ডয়চে ভেলে বাংলার সাপ্তাহিক ইউটিউব টকশো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়'-এ আজকের পর্বে আলোচক হিসেবে ঢাকা থেকে উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর এবং লন্ডন থেকে ছিলেন পলিটিক্যাল অ্যাক্টিভিস্ট অজন্তা দেব রায়৷ এবারের পর্বে আলোচ্য বিষয় ছিল ‘সাম্প্রদায়িকতার বীজ'৷ প্রশ্ন ছিল, বাংলাদেশে কেন হয় ভাঙচুর, এর দায় কার?

আলোচনায় সঞ্চালক প্রশ্ন করেন কীভাবে সাম্প্রদায়িকতা দেশের রাজনীতিতে তার গুরুত্ব বাড়িয়েছে৷ কথা হয় পুলিশ-প্রশাসনকে আগ্রাসী হতে উস্কানি দেওয়ার বিষযে৷ এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে অজন্তা দেব রায় তোলেন মানুষের মনস্তাত্ত্বিক বদলের প্রসঙ্গ৷ তিনি বলেন, ‘‘কিছু কিছু বিষয় আমাদের মনস্তত্ত্বে এমনভাবে ঢুকে গিয়েছে যে, আমরা খুব সহজেই উস্কে যাই৷ ঠিক যেমন ধর্ম৷ ধর্মসম্পর্কিত কোনো কথা ব্যবহার করলে আমাদের লাইক-ফলোয়ার বেড়ে যায়৷ আওয়ামী লীগ বলেন, হেফাজতে ইসলাম বলেন, বিএনপি, জামাত, যুব লীগ বা ছাত্র লীগ বলেন, এমনকি যুব অধিকার পরিষদের নূর, তাদের প্রত্যেকের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার, সহিংসতার রাজনীতির একটা বীজ ঢুকে গেছে৷ প্রত্যেকেই জানা-অজানায় সেটার চর্চা করেন৷ ধর্মকে ব্যবহার করছেন রাজনৈতিক ফায়দা লাভের জন্য৷ একজন মানুষ ধর্মকে অনুসরণ করতে পারেন, কিন্তু ধর্ম রাজনীতিতে চলে এলে সেটা সমস্যা সৃষ্টি করে৷’’

একই বিষয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর উত্থাপন করেন সাম্প্রদায়িকতা শব্দের সাথে ধর্মকে ভুলভাবে উপস্থাপন করার বিষয়টি৷ তিনি বলেন, ‘‘ইসলাম ধর্মের একজন মানুষ হিসাবে বলি, ধর্ম কখনো অন্য কারো অধিকার খর্ব করার কথা বলে না৷ ইসলাম ধর্ম সম্প্রীতির কথা বলে৷ আর যারা ধর্মকে বিকৃত করে অপপ্রচার করে, তাদের প্রতি আমি চিরকালই আমার ঘৃণা প্রকাশ করি৷ কিন্তু আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে যে, আমরা এমন একটা জাতি, যারা পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশকে আলাদা করেছি৷ সেই ইসলামী অতি-আবেগের দিকে দেশের মানুষ কর্ণপাত করেননি৷’’

অনুষ্ঠানে আরো আলোচিত হয় বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধর্মীয় সংগঠনগুলির বেড়ে ওঠা, প্রতিবাদের ক্ষেত্রে নিজস্ব বিশেষ বিচার-বিবেচনা ও এতে সরকারপক্ষের ভূমিকার মতো নানা প্রসঙ্গ৷

এসএস/এসিবি