1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ধর্মঘট আপাতত স্থগিত করলো লুফতহানসা

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০

জার্মানির জাতীয় যাত্রীবিমান পরিবহণ সংস্থা লুফতহানসার পাইলটরা ধর্মঘট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এর আগে, চারদিনের ধর্মঘট ডেকেছিল লুফতহানসার পাইলটদের সংগঠন ককপিট৷

https://p.dw.com/p/M8k3
ছবি: picture alliance / dpa

যে কারণে ধর্মঘট স্থগিত

সোমবার থেকে লুফতহানসার চার হাজার পাইলট চারদিন ব্যাপী ধর্মঘট শুরু করেছিল৷ বিমানসংস্থাটি বিষয়টির আশু সুরাহার জন্য সোমবার ফ্রাঙ্কফুর্টের শ্রম আদালতের দ্বারস্থ হয়৷ এরপরই পাইলটদের সংস্থা ককপিট লুফতহানসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে এবং মার্চের আট তারিখ পর্যন্ত ধর্মঘট স্থগিত রেখে আলোচনা চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়৷ এই প্রসঙ্গে ককপিট এর প্রেসিডেন্ট ভিনফ্রিড স্ট্রাইসার বলেন, শান্তি ফিরিয়ে আনতে এবং আইনি কারণে আমরা আপাতত ধর্মঘট স্থগিত করেছি৷ আমি মনে করি, আমরা কিছুটা হলেও উদারতা দেখিয়েছি৷

ধর্মঘট ডাকার কারণ

মূলত বেতন ও ভাতা ৬ শতাংশ বাড়ানো এবং বহুবছর চাকরি সুনিশ্চিত করতে এই ধর্মঘট ডাকে সংস্থাটির পাইলটদের বড় সংগঠন ককপিট৷ এছাড়া সংস্থাটির পাইলটদের মধ্যে ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, লুফতহানসা কর্তৃপক্ষ কর্মী খাতে ব্যয় কমাতে অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইন্স অথবা লুফতহানসা ইটালিয়ার মত অঙ্গ সংস্থাগুলোতে পাইলটদের চাকরি সরিয়ে নিতে পারে৷ আর তাই বিষয়টির প্রতিরোধে ধর্মঘটে যেতে চায় তারা৷

ককপিট-কে বড় বলা হচ্ছে একারণে যে, প্রায় ৪১ বছর আগে সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৩২ জন সদস্য নিয়ে৷ আর বর্তমানে ককপিটের সদস্য সংখ্যা ৮ হাজারের বেশি৷

ঠেকানো গেল বড় ক্ষতি

মজার ব্যাপার হচ্ছে, সোমবার পর্যন্ত ধর্মঘটের ফলে উড়াল ব্যবস্থায় বড় ধরণের কোন বিপর্যয় দেখা দেয়নি৷ বরং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন উড়ালের সময়সুচিও ঠিক রাখা গিয়েছিল৷ তাছাড়া, সংস্থাটি আগে থেকেই বিমান যাত্রীদের ধর্মঘটের বিষয়টি জানিয়ে দেয়৷ তারপরও কিছু যাত্রী বিরক্তি প্রকাশ করলেও খুব একটা সমস্যা তৈরি হয়নি৷ তবে, চারদিন পর্যন্ত ধর্মঘট চললে বেশ বিপর্যয়ের মধ্যেই পড়তে হত লুফতহানসাকে৷ আশঙ্কা করা হচ্ছিল. এরফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতো অন্তত ১০ হাজার বিমান যাত্রী৷ অবশ্য লুফতহানসার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ধর্মঘট স্থগিত রাখা হলেও খুব দ্রুত উড়াল ব্যবস্থা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না৷ তার জন্য কিছুটা সময় লাগবে৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়