1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ধর্মের ভেদ নেই আলবেনিয়ার যে গির্জায়

৪ ডিসেম্বর ২০২০

মহামারি বা দুর্যোগে আধ্যাত্মিক শক্তির কাছে সান্ত্বনা খোঁজার প্রচলন আছে আলবেনীয়দের মাঝে৷ করোনায় দেখা গেল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে তারা জড়ো হচ্ছেন গির্জায়৷

https://p.dw.com/p/3mEwk
আলবেনিয়ার সেন্ট এন্থনি চার্চ ছবি: Gent Shkullaku/AFP

আলবেনিয়ার উত্তর-পশ্চিমের লাক শহরের সেন্ট এন্থনি গির্জা এটি৷ করোনা মহামারির সময়ে মুসলিম, খ্রিস্টান কিংবা ধর্মে বিশ্বাসী নয় এমন অনেকেই  ভিড় করেছেন এখানে৷ করোনসহ নানা বিষয়ের প্রতিকার চেয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে আবেদন তাদের৷

নানা ঢংয়ে ঈশ্বরের কাছে সান্ত্বনা চাইছেন পূণ্যার্থীরা৷ কেউ জ্বালাচ্ছেন মোমবাতির আলো আর কেউ রেখে যাচ্ছেন রোগাক্রান্ত সন্তানের জামা কিংবা প্রিয়জনের ছবি৷ উদ্দেশ্যে, জাগতিক সব শোক, জরা কাটিয়ে ফিরে আসুক শান্তি আর ভালোবাসা৷

তবে বিভিন্ন ধর্মের, বিশ্বাসের কিংবা বর্ণের আলবেনিয়ানদের এভাবে জড়ো হওয়াকে একটু আলাদা চোখে দেখছেন দেশটির টিরানা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানী আফেরদিতা ওনুজি৷ তার মতে, এটি এমন একটি জায়গা যেখানে সবার ঈশ্বর এক৷ অর্থাৎ ভেদাভেদ না রেখে সবাই একটি জায়গায় এক হয়েছেন৷ করোনায় অজানা আর অক্ষমতার ভয় থেকে মুক্তি পেতেই এখানে এসেছেন তারা৷

এমন মানুষের সংখ্যা ইদানিং এখানে বেড়েছে জানিয়ে এ নৃবিজ্ঞানী বলেন, ঐশ্বরিক শক্তিতে মানুষের বিশ্বাসের ছবি এটি৷

শুধু রোগমুক্তি নয়, দৈনন্দিন জীবনের বিশেষ করে দুর্যোগের সময়ের মানসিক চাপ লাঘবে জড়ো হচ্ছেন কেউ কেউ৷ আদা দ্রাভা নামে ২০ বছরের এক তরুণী প্রথমবারের মতো এখানে এসছেন৷ ‘‘মানসিক চাপ লাঘবের জন্য এখানে এসেছি৷ সেই সাথে পরিবারের সদস্যদের জন্য শান্তি কামনা আমার৷''

শুধু রোগাক্রান্ত ব্যক্তিরাই নয়, রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া মানুষদেরও দেখা যায় এখানে৷ করোনা থেকে সেরে উঠা অনেকেই প্রার্থনা করতে আসেন এ চার্চে, জানালেন পাদ্রী মিরাশ ইভানজা৷

বলকান রাষ্ট্র আলবেনিয়া প্রায় ৫০ বছর কমিউনিস্ট শাসনের অধীনে ছিল৷ সে সময় ধর্মকর্মে অনেকটা নিষেধাজ্ঞা ছিল৷ তবে গত ৩০ বছরে অর্থাৎ কমিউনিস্ট শাসনের পতনের পর ধীরে ধীরে দেশটিতে ধর্ম চর্চার প্রচলন বাড়ছে৷

আরআর/এসিবি (এএফপি)