1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিশু যৌন নির্যাতন

গ্যুন্থার বার্কেনস্টক, এএফপি/এপিবি৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

শিশু যৌন হয়রানির সাথে জড়িত সব ক্যাথলিক পুরোহিতদের অবিলম্বে বরখাস্ত করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করতে ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ৷

https://p.dw.com/p/1B3p5
ছবি: picture alliance / AP Photo

শিশু নিপীড়ন নিয়ে বুধবার জাতিসংঘের শিশু অধিকার বিষয়ক কমিটির প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ দাবি জানানো হয়৷ কড়া এক বিবৃতিতে এ জাতিসংঘ কমিটি বলেছে, শিশুদের ওপর থেকে যৌন নির্যাতনের অবসান ঘটাতে পারেনি ভ্যাটিকান৷ বিশ্বব্যাপী ক্যাথলিক চার্চের সদস্য এবং যাজকদের অসংখ্য শিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে৷

প্রতি বছর ক্যাথলিক যাজকদের বিরুদ্ধে হয়রানির অন্তত ৬০০ অভিযোগ আসে৷ এর মধ্যে এমন অভিযোগ আছে যেগুলো ৬০,৭০ ও ৮০-র দশকের ঘটনা৷ এ তথ্য জানিয়েছে খোদ ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষ৷ ২০১০ সালে যাজকদের এই জঘণ্য আচরণের জন্য জনসমক্ষে ক্ষমা চেয়েছিলেন এর আগের পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট৷

প্রিস্ট বা যাজকদের দ্বারা নির্যাতিতদের রক্ষাকারী সংস্থা দ্য সার্ভাইভার্স নেটওয়ার্ক অফ দোজ অ্যাবিউস্ড বাই দ্য প্রিস্ট বা এসএনএপি জানিয়েছে, তারা খুব শিগগিরই এ সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত যোগাড় করে জাতিসংঘের কাছে জমা দিবে৷ এসএনএপি জানিয়েছে, নতুন পোপ ফ্রান্সিস তাঁর পূর্বসূরিদের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে রাজি নন৷

জার্মানির লোয়ার স্যাক্সনির ক্রিমিনোলজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ক্রিস্ট্রিয়ান ফেফার অবশ্য চমকপ্রদ কিছু তথ্য দিয়েছেন ডয়চে ভেলেকে৷ জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে ক্যাথলিক চার্চগুলোতে এই হয়রানির বিষয়গুলো তদন্ত করে একটি গবেষণা প্রকল্পের ভার দেয়া হয়েছিল তাঁর উপর৷ কিন্তু তদন্ত যাতে স্বচ্ছ্ব হয় এ জন্য তিনি বেশ কিছু তথ্য জানতে চেয়েছিলেন এবং সেটাই প্রকল্পের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় এবং ২০১৩ সালের প্রথম দিকে তাঁকে ঐ প্রকল্প থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়৷

এ কারণে জাতিসংঘের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি৷ তিনি গবেষণায় দেখেছিলেন, ৫০ থেকে ৭০ এর দশক পর্যন্ত যেসব যাজক এ ধরনের হয়রানি করেছিল, তাঁদের তখনকার কাজ থেকে ভিন্ন কাজে সরিয়ে দেয়া হলেও উপযুক্ত কোনো শাস্তি দেয়া হয়নি৷ কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে৷ কারণ এখন কোনো যাজকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এলে তাঁকে চাকুরিচ্যুত করা হয়৷ ক্যানন আইন অনুযায়ী শাস্তি পেতে হয় তাকে৷ অর্থাৎ রাষ্ট্র তাঁকে শাস্তি দিতে পারবে, যেটা আগে সম্ভব ছিল না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য