‘ধর্ষক আর পাক হানাদার বাহিনীর মধ্যে কোনো তফাৎ নাই' | পাঠক ভাবনা | DW | 02.08.2017
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

মতামত

‘ধর্ষক আর পাক হানাদার বাহিনীর মধ্যে কোনো তফাৎ নাই'

বগুড়ায় মা-মেয়েকে ধর্ষণের পর একজন পাঠক লিখেছেন ‘এই ধর্ষক আর পাক হানাদার বাহিনীর মধ্যে কোনো তফাৎ নাই৷' তবে ধর্ষকের বিচারের দাবি জানিয়ে ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় নানা মন্তব্য করেছেন অসংখ্য পাঠক৷ 

মা-মেয়েকে ধর্ষকের বিচারের দাবি জানিয়ে সাখায়েত সুমন লিখেছেন, ‘‘ভিকটিম পরিবারের সম্মান ফিরিয়ে দিতে হবে, তুফান সহ সকল অপরাধীর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ভিকটিম পরিবারকে দিতে হবে৷ আদালত সাক্ষী হাজির নাটক করে সময় পার করা যাবে না৷ এক সপ্তাহের মধ্যে এমন রায় দিতে হবে, যাতে এই বর্বরতা নরপিশাচের মতো কাজ ভবিষ্যতে কেউ না করে৷'' এ ঘটনায় দেশ মধ্যযুগে ফিরে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র৷

গণজাগরণ মঞ্চকে জোর দাবি জানিয়ে এই অনুরোধ করেছেন পাঠক আনিসুর রহমান অনিক৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘গণজাগরণ মঞ্চ যেমন করে  রাজাকারদের শাস্তির দাবিতে মাঠে নেমেছিল৷ ঠিক সেইভাবে আন্দোলনে নামবে গণজাগরণ মঞ্চ৷ কারণ মা ও মেয়ের উপর ধর্ষণ ও নির্যাতন – এটা পাকিস্তানি হানাদার বাহীনিকেও হার মানিয়ে দিয়েছে৷ অন্যায়কারী, ধর্ষণকারী, নির্যাতনকারী, যত বড় ক্ষমতাসীন দলের লোক হোক না কেন, এর উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে৷ বাংলার মাটিতে এদের বিচার করে প্রমাণ করতে হবে, বর্তমান সরকার অন্যায় কাজের সমর্থন করে না৷''

তবে পাঠক মো. আবদুল্লাহ আল-মাসুম গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে সরাসরি আক্রমণাত্বক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন এভাবে, ‘‘অনুরোধ করব পারলে তোমরা ইয়াবা বিরোধী আন্দোলন করে দেখাও, দেখি তোমার কেমন হিম্মৎ৷''

তবে আহমেদ শাহীনের মতে, ‘‘এরকম ধর্ষক আর পাক হানাদার বাহিনীর মধ্যে কোনো তফাৎ নাই৷''

পাঠক মিনারের ধারণা, এটা নাকি ১৯৭১ সালের প্রতিচ্ছবি৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘দেশে কোনো আইন নেই৷ বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা ও আইনি কাঠামো অনেক দূর্বল৷ অপরাধীর ক্ষমতা ও টাকা থাকলে সাত খুন মাফ হয়৷''

যদিও বাইজিদ হোসেন একটু ভিন্ন কথা বলছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি বলবো, এই মহিলাদেরকে এমন শাস্তি দেওয়া হোক, যেন জনগণ নিজের চোখে দেখে বুঝতে পারে যে অন্যায়ের পরিণাম কত ভয়ানক৷'' তাঁর কথায়, ‘‘ পুরুষ নামের জানোয়ারদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক৷''

তবে সুষ্ঠু বিচার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয় না বলেই পাঠক রবিনহুড চৌধুরীর ধারণা৷ তিনি ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘মেয়েদের পোশাকের উপর দোষ চাপিয়ে উলটে ধর্ষিতাকে দোষী বানানোর চেষ্টা করার ফলে বিচার আদৌ হচ্ছে না৷ যার ফলে এইসব নোংরা লোকদের সাহস বেড়েই চলেছে৷''

পাঠক নয়ন অবশ্য এ সব অন্যায়ের জন্য আওয়ামী লীগকেই দায়ী করছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘বিগত কয়েক বছরে আওয়ামী লীগ থেকে বহু লম্পট তুফানের জন্ম হয়েছে৷ তাই শুধু তুফানের বিচার চাইলে হবে না৷ বরং তুফানের মতো ধর্ষকদের লালনকারী আওয়ামী লীগেরও বিচার চাইতে হবে, যাদের প্রশ্রয় আর নিয়ন্ত্রণহীনতার জন্য আজ সমাজের এই করুন দশা৷''

পারভেজ খান অভিযোগের সুরে প্রশ্ন করেছেন, ‘‘একাত্তরে এ সব কাজ রাজাকাররা করেছে৷ তাঁর প্রশ্ন, কিন্তু এখন কারা করছে?''

অন্যদিকে চিন্ময় রায়ের সোজা দাবি কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক অপরাধীদের৷ হাসিবুল আলম হাসিব ও তাহাবুর আরাফাত এ ব্যাপারে চিন্ময় রায়কে সমর্থন করেছেন৷

এছাড়া ডয়চে ভেলেকে ধন্যবাদ দিয়েছে পাঠক মীর রনি বগুরায় মা ও মেয়েকে ধর্ষণ বিষয়ক লেখা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করার জন্য৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন