1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ধর্ষণকারীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলো'

১৯ জানুয়ারি ২০১৭

ভারতে প্রতি ৩০ মিনিটে ধর্ষণ বা যৌন লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন একজন নারী৷ নারীদের জন্য বিশ্বের দ্বিতীয় অনিরাপদ দেশ ভারত৷ আর ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির প্রতিবাদে একটি ভিডিও তৈরি করেছেন সেদেশের অভিনয় জগতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা৷

https://p.dw.com/p/2W1vg
ধর্ষণ বিরোধী প্রতিবাদ
ছবি: Getty Images/N. Seelam

বর্ষবরণের রাতে বেঙ্গালুরুতে যৌন লাঞ্ছনার ঘটনার পর দিল্লিসহ বেশ কয়েকটি স্থানে আবারও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে৷ ২০১৫ সালে ভারতে ধর্ষণের ঘটনা থানায় রিপোর্ট হয়েছে ৩৪ হাজার ৬৫১টি৷ যেগুলো রিপোর্ট করা হয়নি, সেগুলো জানা গেলো হয়ত সংখ্যাটা কত হবে ভাবা যায় না৷ ধর্ষণের ঘটনায় এমনকি বিদেশিরাও বাদ যাননি৷ গত কয়েক বছরে বেলজিয়াম, জার্মানি, ডেনমার্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও উগান্ডার নারীরা ভারতে এসে ধর্ষিতা হয়েছেন৷ তবে বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটেছে রাজধানী দিল্লিতে৷

রজিত কাপুর, নীল ভুপালাম, মাইয়াং চ্যাং, সৌরভ পান্ত এবং অদিতি মিত্তাল এই ভিডিওতে অংশ নিয়েছেন৷ যেখানে পুরুষরা এ সব ধর্ষিত এবং লাঞ্ছিত নারীদের রক্ষা করতে না পারায় তাঁদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছেন৷

তাঁরা বলছেন, বেশিরভাগ ছেলেরা নারী হতে চান এ কারণে যে তাঁরা কত সুন্দর, কত যৌন আবেদনময়ী সেজন্য৷ তাদের কাছে মনেই হয় না মেয়েরা আসলেই মানুষ৷ নারী যে সব রূপেই সুন্দর, তা সে মা, স্ত্রী, বান্ধবী, বোন – যে রূপেই হোক না কেন৷ একজন পুরুষের পক্ষে নারীর জায়গায় নিজেকে উপলব্ধি করা সম্ভব না৷ আর বিশেষ করে দেশটি যদি হয় ভারত৷ তাঁরা বলছেন, ‘‘ভারতে একজন নারী হওয়া ভয়াবহ৷ ভারত কেবল পুরুষদের জায়গা৷''

সবশেষে তাঁরা বলতে চেয়েছেন, একটি মেয়ের জন্ম ভারতে না হয়ে অস্ট্রেলিয়া বা সৌদি আরবে হলেও হয়ত ভালো হতো৷ কেননা সৌদি আরবে নারীদের অবস্থা ভারতের নারীদের চেয়ে ভালো৷ কিন্তু কেন মেয়েরা ভারত ছেড়ে যাবে? বরং বদলাতে হবে সমাজকে৷ তাই তাঁদের কথায়, ‘‘যে পুরুষ তোমাকে ধর্ষণ করে তার পুরুষাঙ্গ কেটে নাও৷ তুমি হাতে আবীর লাগানো দেবী নও, তোমার হাতে আছে মারণাস্ত্র৷'' ইউটিউবে দুই বছরে ৮ লাখ ২০ হাজার বার দেখা হয়েছে এই ভিডিওটি৷

এপিবি/ডিজি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য