1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নগরায়নকে পরিবেশ বান্ধব করার দাবি

২৯ অক্টোবর ২০১০

পৃথিবীজুড়েই শহরগুলোতে মানুষের ভীড় ক্রমশই বাড়ছে৷ এই নগরকেন্দ্রগুলোকে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, বহুতল ভবন আর যানবাহন ব্যবস্থাকে জায়গা করে দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/Ps63
মানুষের হাতে প্রকৃতির ধ্বংস রুখতে হবে, রক্ষা করতে হবে জীববৈচিত্র্যছবি: IUCN

তারপরও প্রকৃতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার করার লড়াই শুরু করতে পারে এইসব শহরগুলোই৷ জাপানের নাগয়া শহরে আজ শুক্রবার শেষ হচ্ছে জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্য সম্মেলন৷ মানুষের হাতে প্রকৃতির ধ্বংসকাণ্ড রোধ করতে, দ্রুত বিলুপ্ত হতে থাকা জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে এবং বিশ্বপ্রকৃতির জেনেটিক সম্পদ ব্যবহার বিধিবদ্ধ করতে একটি রোডম্যাপ গৃহীত হবে৷ এই সম্মেলনের পাশাপাশি আলোচিত নানা বিষয়ের মধ্যে ঠাঁই পায় পরিবেশবান্ধব নগরায়নের বিভিন্ন দিক৷ বৈঠকে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সবুজ সংগঠনগুলো রেইন ফরেস্ট ও মহাসমুদ্র রক্ষার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে৷ উপস্থিত পৌরপ্রধানরা কিন্তু তাদের বক্তৃতায় বলেছেন, শহরগুলোর পরিবেশ সংরক্ষণ করাটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ৷

ব্রাসেলসের পরিবেশ মন্ত্রী ইভেলাইনে হুইটে ব্রোইক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘‘আমাদেরকে অবশ্যই দু'স্তরে কাজ করতে হবে৷ প্রথমত ইকোসিস্টেমের সংরক্ষণ কিন্তু তা শহরের জীববৈচিত্র্য এবং অন্যান্য সব কর্মসূচির মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রেখে৷ আর জীববৈচিত্র্যকে সমস্যা হিসেবে না দেখে নগর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেখতে হবে৷''

বলা হচ্ছে, পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ এখন শহরমুখী এবং শহরের লোকসংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে শতকরা সত্তর ভাগ বেড়ে যাবে৷ বৈঠকে বলা হয়, নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা এমনভাবে করা উচিত যাতে তা জীববৈচিত্র্যের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া না ফেলে, সেটা গাছের ক্ষেত্রে হোক কিংবা কোনো পোকামাকড়ের ক্ষেত্রেই হোক৷ এটা ইকো সিস্টেম ফিরিয়ে আনার জন্য খুব জরুরি৷

নাগোয়া'র বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের বিভিন্ন সমীক্ষার উদাহরণ দেওয়া হয়৷ সেখানে ইকোসিস্টেমের গুরুত্বের কথা স্থান পেয়েছে৷ গাছপালা ও প্রাণীকুল আমাদের জীবনে কিভাবে ভূমিকা রাখে, বলা হয়েছে সেকথা৷ যেমন পোকামাকড় পরাগায়ণ করে, গাছপালা বায়ুকে দূষণমুক্ত রাখে এবং শস্য খাদ্যের উৎস হিসেবে কাজ করে৷

ভানকাউভার'র সিটি কাউন্সিলর ডেভিড ক্যাডম্যান বলেন, ‘‘ বড় বড় শহরগুলোতে শিল্পকারখানার বর্জ্য যানবাহন থেকে সৃষ্ট দূষিত ধোয়া পরিবেশ দূষণ করছে, যা ইতোমধ্যে মানুষের স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে৷'' তিনি আরও বলেন, ‘‘নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে মশা বিস্তার লাভ করছে৷ ফলে ডেঙ্গু ও ম্যালারিয়ার মতো রোগগুলো বেশি ছড়াচ্ছে৷ যদি আপনারা ভাবেন যে জীববৈচিত্র্যকে সংরক্ষণ করতে গেলে খরচের একটা বিষয় এসে যায়, তাহলে আমি বলবো এসব কারণে স্বাস্থ্যখাতে যে পরিমান খরচ বেড়ে যাচ্ছে সেই দিকটার কথা ভাবুন৷''

ক্যাডম্যান বলেন, ‘‘শহরগুলো ইতোমধ্যে জলাভূমি সংরক্ষণ ও নদীর সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে৷ বাড়ি ও অফিসের ছাদে গাছপালা লাগিয়েও যে পরিবেশ সংরক্ষণ করা যায় সেই কৌশল দেখাচ্ছে ব্রাসেলস৷''

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক