1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুনদিল্লিতে ভারত-রুশ শীর্ষ বৈঠকে সন্ত্রাস মোকাবিলার ওপর জোর

২১ ডিসেম্বর ২০১০

ভারত সফররত রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর মধ্যে শীর্ষ বৈঠকে আগামী দশকে দুদেশের কৌশলগত সহযোগিতার এক নতুন রোডম্যাপ তৈরি হয়৷ জোর দেয়া হয় সন্ত্রাস মোকাবিলার ওপর৷ সই হয় ১৫টি চুক্তি৷

https://p.dw.com/p/zntO
Medvedev, Manmohan Singh
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভছবি: AP

ভারত-রুশ শীর্ষ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ডিমিত্রি মেদভেদেভ’এর মধ্যে বিভিন্ন বিযয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়৷ যার কেন্দ্রবিন্দু ছিল সন্ত্রাস মোকাবিলায় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে সন্ত্রাসের প্রেক্ষিতে উভয় দেশের নিরাপত্তা৷ প্রতিনিধিস্তরে আলোচনার পর, এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ড. সিং সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দুদেশের বন্ধুত্বের উল্লেখ করে বলেন, ভারত ও রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসের শিকার৷ তাই সন্ত্রাস মোকাবিলার অভিন্ন কৌশল উদ্ভাবনে দরকার দুদেশের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা যার মধ্যে থাকবে সন্ত্রাস সম্পর্কিত গোয়েন্দা ও অন্যান্য তথ্য বিনিময়৷ এক্ষেত্রে রাশিয়া ভারতের স্বাভাবিক সহযোগী৷ সন্ত্রাস রোধে আফগানিস্তানে ভারত-রুশ সহযোগিতা আরো দৃঢ় করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং৷

রুশ প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভ সন্ত্রাসীদের দুষ্কৃতি আখ্যা দিয়ে বলেন, কোন সভ্য দেশ সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিতে পারেনা৷ সন্ত্রাসসৃষ্টিকারী দুষ্কৃতীদের শাস্তি পেতেই হবে৷ সন্ত্রাসীদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আইনি কাঠামো তথা আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাপনার কথা বলেন তিনি৷ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদে রাশিয়ার পূর্ণ সমর্থন আছে৷ কারণ ভারত সদস্যপদের যোগ্য দেশ, বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভ৷

আলোচনাশেষে সই হয় ডজন খানেক চুক্তি৷ অসামরিক পরমাণুশক্তি, মহাকাশ, প্রতিরক্ষা, হাইড্রোকার্বন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সংস্কৃতি এবং পঞ্চম প্রজন্মের জঙ্গি বিমান তৈরির সমঝোতাচুক্তি৷ পরমাণু সহযোগিতার অধীনে তামিলনাড়ুর কুড়ানকুলামে আরো কয়েকটি পরমাণু চুল্লি বসাতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া৷ এই প্রসঙ্গে ভারতের প্রস্তাবিত পরমাণু দায়বদ্ধতা আইনের সংস্থানের কথা জানতে চায় রাশিয়া ৷

বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে উভয় দেশ দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা বাণিজ্য বর্তমানের এক হাজার কোটি মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ২০১৫ সাল নাগাদ তা ২ হাজার কোটি ডলারে নিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্ট্যোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক