1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন টেলিকম মন্ত্রী মানব সম্পদমন্ত্রী কপিল সিব্বাল

১৫ নভেম্বর ২০১০

টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে টেলিকম মন্ত্রী এ.রাজা ইস্তফা দিতে বাধ্য হবার পরও এর জের কাটেনি৷বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দল এই কেলেঙ্কারির তদন্তে সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবিতে আজ নিয়ে চতুর্থ দিন সংসদের কাজকর্ম অচল করে রাখে৷

https://p.dw.com/p/Q9Ds
কপিল সিব্বালছবি: UNI

বিতর্কিত টেলিকম মন্ত্রী এ.রাজার ইস্তফা সত্ত্বেও টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির জের কাটেনি৷ মন্ত্রীর পদত্যাগ যথেষ্ট নয়, এতবড় দুর্নীতির তদন্তের জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করতে হবে, এই দাবিতে বিজেপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল আজও সংসদের কাজকর্ম অচল করে রাখে৷ সংসদের উভয় কক্ষে চলে তুমুল হৈ হট্টগোল৷ অধিবেশন মুলতুবি রাখতে হয়৷ অচলাবস্থা দূর করতে আগামীকাল ডাকা হয়েছে সর্বদলীয় বৈঠক৷

টেলিকম মন্ত্রী ছিল কংগ্রেস জোট সঙ্গী ডিএমকে দলের৷ তাই স্বাভাবিক প্রত্যাশা ছিল ঐ দলেরই অন্য কাউকে ঐ দপ্তর দেয়া হবে৷ কিন্তু সে আশায় জল ঢেলে প্রধানমন্ত্রী আপাতত টেলিকম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছেন মানব সম্পদ বিকাশমন্ত্রী কপিল সিব্বালের ওপর৷ টেলিকম দপ্তর নিয়ে এত জল ঘোলা হয়েছে, এত আইনি জট পাকিয়েছে যে তার মোকাবিলা সিব্বালের মত দুঁদে আইনজীবীই পারবেন বলে সরকার মনে করছে৷ যদিও জোট সঙ্গী ডিএমকে ব্যাপারটা অত সহজে হজম করবে বলে মনে হয়না৷ ডিএমকে সাংসদ টি.আর বালুর মন্তব্যে সেই রকম ইঙ্গিত৷ আমাদের দলেরই পাওয়া উচিত৷ এটা একটা স্পর্শকাতর ইস্যু৷ সিদ্ধান্ত নেবেন দলের হাইকমান্ড৷

যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি অর্থহীন মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সংসদের কাজে বাধা দেয়া বিজেপির উচিত নয়৷ কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেলের রিপোর্ট পাঠানো হবে সংসদীয় অ্যাকাউন্টস কমিটিতে যার নেতৃত্ব করছেন বিরোধী দলের নেতা৷ সেই কমিটি পুরো রিপোর্ট খতিয়ে দেখবেন৷ এরমধ্যে ঢাকাঢাকির কিছু নেই৷ সংসদে টেলিকম মন্ত্রীর পদত্যাগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিবৃতির দাবি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, শুধু টু-জি স্পেকট্রাম কমনওয়েলথ গেমস, আবাসন কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে, কোনটার জন্যও সংসদীয় কমিটির দরকার নেই৷ গন্ডগোল পাকাবার একটা অছিলামাত্র৷

সিপিআইএম সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরির মতে, এত বড় কেলেঙ্কারিতে শুধু টেলিকমমন্ত্রী নয়, আরো অনেক ব্যক্তি ও সংস্থা জড়িত৷ তাই যৌথ সংসদীয় কমিটি জরুরি৷

উল্লেখ্য, টু-জি স্পেকট্রামের লাইসেন্স সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী নিলাম না করে ইচ্ছামত বন্টন করেছেন নির্বাচিত কিছু কোম্পানিকে বাজার দামের চেয়ে অনেক কম দামে৷ এমন অভিযোগ, সিএজি রিপোর্টের ভিত্তিতে বিরোধি পক্ষের৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক