1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন দিল্লিতে শেষ হলো প্রথম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উত্সব

১৯ এপ্রিল ২০১০

রবিবার নতুন দিল্লিতে শেষ হলো তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উত্সব৷ উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী চৌধুরি মোহন জাটুয়া৷

https://p.dw.com/p/N0XG
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র এখনো সীমানার বাইরে তেমন পরিচিত নয়ছবি: Bandhobi

যৌথভাবে এর আয়োজন করে ভারতের ডায়রেক্টোরেট অফ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও বাংলাদেশ দূতাবাস৷ দেখানো হয় নির্বাচিত ৭টি ছবি৷ তুলে ধরা হয় আজকের বাংলাদেশকে৷

দর্শকদের ব্যাপক উপস্থিতি ও প্রশংসাই বলে দেয় বাংলাদেশি ছবির সাফল্য৷ সবকটি ছবিই মানবিক আবেদনে ভরা৷ উত্সবের উদ্বোধন করে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী চৌধুরি মোহন জাটুয়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উত্সব শুধু দিল্লিতে সীমাবদ্ধ না রেখে ভারতের অন্যান্য শহরে – বিশেষ করে কলকাতায় আয়োজন করার কথা বলেন, যাতে এদেশের মানুষ বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ মুক্ত সংস্কৃতির স্বাদ নিতে পারে৷ দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক করিম মনে করেন, সাংস্কৃতিক বার্তা রাজনৈতিক সীমা ভেদ করে সহজেই পৌঁছে যায় মানুষের অন্তরে৷ বাংলাদেশ তার মূল্যবোধ-ভিত্তিক ধর্মনিরপেক্ষ সংস্কৃতির জন্য গর্বিত৷

শুক্রবার প্রথমদিনে দেখানো হয় ‘আয়না' ছবিটি৷ পরিচালক সারাহ কবরী৷ তিনি সাংসদ ও অভিনেত্রীও৷ ‘আয়না' সামাজিক শোষণের বিরুদ্ধে নারীদের ঘুরে দাঁড়ানোর সংগ্রামের কাহিনী৷ তাঁর পরবর্তি ছবি সম্পর্কে ডয়েচে ভেলেকে সারাহ কবরী বলেন, তাঁর আগামী ছবি হবে রাজনীতি কেন্দ্রিক৷ মানুষ রাজনীতি কেন করেন? রাজনীতি কী একটা ধান্দা না দেশসেবা? রাজনীতির পেছনে যে রাজনীতি সেটাই হবে প্রধান উপজীব্য৷ এই ফেস্টিভ্যালে আসতে পেরে তিনি খুব আনন্দিত৷ ৭১-এর যুদ্ধ ও তার পরবর্তিকালে দুদেশের বন্ধুত্ব যে অক্ষয়, এই ফেস্টিভ্যাল তা দেখিয়ে দিল, বলেন সারাহ কবরী৷

বাংলাদেশের বিশিষ্ট প্রযোজক ফরিদুর রেজা সাগর ডয়েচে ভেলেকে বাংলাদেশের সিনেমা শিল্পের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বলেন, বাংলাদেশের সিনেমা শিল্প একটা ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এগিয়ে চলেছে৷ ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনা প্রসঙ্গে সাগর জানান, ভারতের নামকরা পরিচালক গৌতম ঘোষের পরিচালনায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মনের মানুষ কাহিনী অবলম্বনে ছবিটি তৈরি হবে৷

ছবির নাম ‘জয়যাত্রা'৷ বিষয় ৭০-এর দশকে খান সেনাদের বর্বরতা৷ ভিটেমাটি ছেড়ে চলে যাবার হাহাকার৷ তারই মাঝে মুক্তিযুদ্ধের সূর্যোদয়৷ তবু কেন এই ছবি বাণিজ্যিকভাবে সফল হলো না, সেবিষয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছবির পরিচালক তৌকির আহমেদ ডয়েচে ভেলেকে বলেন, এটা জীবন-ঘনিষ্ঠ ছবি৷ বাণিজ্যিক সাফল্যের উপাদান তাই ছিলনা৷

সবশেষে সার কথাটি ডয়েচে ভেলেকে বললেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক করিম৷ সংস্কৃতি মানুষকে মানুষ হিসেবে চিনতে শেখায়৷ রাজনীতির আলোতে নয়৷ ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যে লৌহ প্রাচীরটা ছিল সেটা বার্লিন প্রাচীরের মত ভেঙ্গে ফেলাই হবে তাঁর কাজ৷ আর সাংস্কৃতিক যোগাযোগ হবে তার প্রধান হাতিয়ার৷

প্রতিবেদক: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি, সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন