1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন বছরে এশিয়ার ভূ-রাজনীতি?

অনিল চট্টোপাধ্যায় নতুন দিল্লি
১ জানুয়ারি ২০১৭

এই বিষয়ে নানান মত থাকলেও চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে দ্বিমত নেই৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিদ্যার অধ্যাপক ত্রিদিব চক্রবর্তী মনে করেন, টানাপোড়েন থাকলেও বর্তমানের স্থিতাবস্থাই বহাল থাকবে৷

https://p.dw.com/p/2V3ZH
China Flugzeugträger Übung
চীনের বোহাই সাগরে অনুশীলন চলছেছবি: Reuters/Stringer

নতুন বছরেও চীনের তর্জন গর্জন, আস্ফালনের ধারাবাহিকতা চলবে৷ এশিয়ায় আধিপত্য ধরে রাখতে সেটা থাকবে৷ কিন্তু তা বিস্ফোরণের পর্যায়ে যাতে না যায়, সে বিষয়ে সজাগ থাকবে চীন৷ এর প্রেক্ষিতে, নতুন বছরে এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক অভিমুখ তাহলে কোন দিকে যেতে পারে সেটাই প্রশ্ন৷ গোটা এশিয়া মহাদেশের পক্ষে বিশেষ করে ভারতের পক্ষে সেটা কতটা শুভ বা কতটা অশুভ হবে, কি ধরণের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে, সেই পরিস্থিতির মোকাবিলায় কি ধরণের আগাম স্ট্র্যাটিজি তৈরি রাখতে হবে ভারতকে তাই নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ চলছে বিশেষজ্ঞ মহলে৷ কারণ ভারতের ঘাড়ে শ্বাস ফেলে যাচ্ছে চীন৷ তাই মাথা ব্যথার যথেষ্ট কারণ থাকবে ভারতের৷

পূর্ব-পশ্চিম সীমান্তের প্রতিবেশী দেশ চীন ও পাকিস্তানের অল-ওয়েদার ফ্রেন্ডশিপের বুলি যে নিছক বুলি নয়, তার প্রমাণ পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক, অর্থনৈতিক তথা রাজনৈতিক আঁতাত৷ যার প্রমাণ চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর যার পরিসর পাকিস্তান ছাড়িয়ে ইরান ও মধ্য এশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হচ্ছে৷ সিপিইসি-এর অধীনে পাকিস্তানে উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে আগামী বছর চীন ১২ হাজার কোটি ডলার ঢালবে৷ বানিয়ে দেবে গদর বন্দর, সড়ক, হাইওয়ে, রেলপথ ও পাইপলাইন৷ আপাতদৃষ্টিতে এটা উন্নয়নমূলক হলেও এর ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম৷ ভারতের পক্ষে সেটা, বলা বাহুল্য, উদ্বেগজনক৷

এশিয়ার ওপর নিরঙ্কুশ আধিপত্য কায়েম রাখতে ২০১৭ সালেও চীন তার এই রোডম্যাপ হাতে নিয়েই চলবে সন্দেহ নেই৷ চীনের মতলব নিয়ে পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহলের একটা অংশ ইতিমধ্যেই আশংকা প্রকাশ করেছে৷ তাঁরা মনে করিয়ে দিয়েছে, বাণিজ্যের পথ ধরে ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কীভাবে গোটা ভারতকে কুক্ষিগত করেছিল, শাসন করেছিল৷ কে বলতে পারে, বণিকের মানদন্ড দেখা দেবে না রাজদন্ডরুপে?

ভারতের কপালে ভাঁজ পড়ার আরও একটা কারণ পুরানো বন্ধু রাশিয়াও তার সুর বদলে চীন-পাকিস্তানের সুরে কথা বলছে৷ গত মঙ্গলবার চীন, পাকিস্তান ও রাশিয়ার মধ্যে, তাদের মতে, আফগান পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে আলোচনা হয়৷

এই নতুন অক্ষরেখা বা গ্রুপে ইরানকেও টানা হতে পারে৷ এর প্রেক্ষিতে আগামী বছরে কাশ্মীর পরিস্থিতি বাগে আনতে হিমশিম খেতে হবে মোদী সরকারকে৷ কাশ্মীর পরিস্থিতি আরও ঘোলা হতে পারে৷

প্রিয় পাঠক, আপনার কিছু বলার থাকলে নীচে মন্তব্যের ঘরে লিখুন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান