1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন বিমানবন্দর হবে পদ্মার ও’পারে

৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মুন্সীগঞ্জে নয়, নতুন বিমানবন্দর হবে পদ্মার অপর পারে৷ ওদিকে মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলজ বলেছেন, জিয়ার পূর্বপরিকল্পনায় তাহেরকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়৷

https://p.dw.com/p/10ASr
পতিত জমি কোথায়? প্রশ্ন তুললেন প্রধানমন্ত্রীছবি: DW/Swapan

শেখ হাসিনা তাঁর বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে সব মিলিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা বক্তব্য রাখলেন৷ ফলে পত্র-পত্রিকাগুলো তাদের নিজের মতো করে প্রধানমন্ত্রীর বয়ান পেশ করেছে৷ তবে প্রধানমন্ত্রী যে মুন্সীগঞ্জে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা পরিত্যাগ করলেন, সেটা সর্বত্রই শীর্ষক৷ এই প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা যে বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে একাধিক তির্যক বাণ নিক্ষেপ করেছেন, সেটাও রিপোর্টার থেকে সাংবাদিক-সম্পাদক, সকলেই উপভোগ করেছেন৷ তবে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে আড়িয়ল বিলে বিমানবন্দর নির্মাণের সপক্ষে যুক্তিগুলো তুলে ধরেছেন, যেভাবে তিনি দেখাবার চেষ্টা করেছেন, তাদের বিরোধিতার ফলে এলাকার মানুষ কী ধরণের উন্নয়নের সুযোগ হারাল, তা'তে মনে হয়েছে, তিনি আগামীতে অন্যত্রও অনুরূপ বিরোধিতার জন্য প্রস্তুত৷

সেই জন্যই হয়তো উনি ফসলি জমি নষ্ট হওয়া ইত্যাদি যুক্তিগুলি অতো বিশদভাবে খণ্ডন করেছেন৷ প্রশ্ন তুলেছেন, বাংলাদেশের মতো ছোট্ট জায়গায় কোনো পতিত জমি আছে কিনা৷ রাজধানীর ধানমন্ডি কি উত্তরাও তো আবাদী জমিতেই গড়ে উঠেছে - এ' সব হল তাঁর যুক্তি৷ আড়িয়ল বিলে পূর্ব-পশ্চিম রানওয়ে করে টেকনিক্যাল ল্যান্ডিং'এর সুবিধা এবং তার থেকে রোজগার, সব তথ্যই ঘেঁটে দেখেছেন তিনি৷

অপরদিকে তাহের হত্যা সংক্রান্ত কাহিনীতে একটি নতুন অধ্যায় যোগ করলেন মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলজ৷ ফার ইস্টার্ন ইকোনোমিক রিভিউ পত্রিকার দক্ষিণ এশিয়া প্রতিনিধি লিফশুলজ ১৯৭৬ সালের জুনে ঢাকায় পৌঁছেই সেনাবাহিনীর তৎকালীন চিফ অফ স্টাফ জেনারেল মো. মঞ্জুরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন৷ মঞ্জুর নাকি নিশ্চিতভাবে জানতেন যে, বিচার শুরু হওয়ার আগেই তাহেরের মৃত্যুদণ্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলেন জিয়া৷ - '৭৬-এ তাহেরের বিচার চলাকালীনই লিফশুলজকে বহিষ্কার করা হয়৷

হাতিবান্ধার অজ্ঞাত ‘জ্বর' নিয়েও চিন্তিত দেশের মানুষ৷ তাদের প্রশ্ন: এই জ্বর যা'তে না হয়, তার জন্য কী করা কর্তব্য? চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা নানা ধরণের পরামর্শ দিচ্ছেন৷ আপাতত খেজুর গুড় ও রস, আখের রস, পেঁপে, পেয়ারা, বরই ইত্যাদি না খাওয়া৷ ঠাণ্ডা না লাগানো৷ রোগীকে যতোটা সম্ভব দূর থেকে সেবাশুশ্রূষা করা৷ সবচেয়ে বড় কথা, রোগের লক্ষণ দেখা দিলেই হাসপাতালে কি চিকিৎসকের কাছে যাওয়া৷

গ্রন্থনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই