1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাইন ইলেভেনে শাকিলা আর নুরুলকে মনে পড়ে?

১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে বাস করা বাংলাদেশিদের অনেকেই হয়ত আজ বে রিজ এলাকার তৃতীয় অ্যাভিনিউ ও ওভিংটন অ্যাভিনিউ যেখানে মিলেছে সেখান দিয়ে যাতায়াত করবেন৷ একটু ওপরে তাকালেই তাঁরা দুটি পরিচিত নাম দেখতে পাবেন৷

https://p.dw.com/p/3POqc
Screenshot: Wir gedenken und ehren Shakila Yasmin
ছবি: http://memorial.mmc.com

একটি শাকিলা ইয়াসমিন, অন্যটি নুরুল হক মিয়া৷ তাঁরা দুজন দম্পতি ছিলেন৷ কাজ করতেন টুইন টাওয়ারে অবস্থিত মার্শ অ্যান্ড ম্যাকলেনেন কোম্পানিতে৷ ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে হামলায় দুজনই নিহত হন৷

শাকিলার জন্ম ১৯৭৫ সালে ঢাকায়৷ বাবা-মার সঙ্গে ১৯৯২ সালে যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিলেন৷ সেখানে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমসে লেখাপড়া শেষ করে মার্শ অ্যান্ড ম্যাকলেনেন কোম্পানিতে চাকরি করছিলেন৷ তাঁর অফিস ছিল এক নম্বর টুইন টাওয়ারের ৯৩ তলায়৷

শাকিলার স্বামী নুরুল হক মিয়ারও জন্ম বাংলাদেশে৷ শাকিলার আগে থেকেই তিনি মার্শ অ্যান্ড ম্যাকলেনেনের অডিওভিজ্যুয়াল বিভাগে চাকরিরত ছিলেন৷ তাঁরও অফিস ছিল শাকিলার ভবনে, ৯৭ তলায়৷

এই দম্পতি বাস করতে ব্রুকলিনের বে রিজ এলাকায়৷ তাঁদের প্রতিবেশী ছিলে ডায়ান হান্ট৷ তাঁর উদ্যোগে ঐ দম্পতির বাড়ির কাছের রাস্তার কর্নারের নামকরণ করা হয় ‘শাকিলা ইয়াসমিন অ্যান্ড নুরুল হক মিয়া ৯-১১ মেমোরিয়াল ওয়ে’৷

Screenshot: Shakila Yasmin & Nurul Haque Miah 9-11 Memorial Way
ছবি: 2019, Google

টুইন টাওয়ার হামলায় নিহত বাংলাদেশি-অ্যামেরিকানদের শ্রদ্ধা জানিয়ে ২০০৬ সালে ডেইলি স্টার পত্রিকায় একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী৷ তিনি জানান, হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাস নিহত ১০ জনের একটি নামের তালিকা তৈরি করেছিল৷ তালিকায় শাকিল ও নুরুল ছাড়া বাকিরা হলেন মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন চৌধুরী, সাব্বির আহমেদ, আবুল কাশেম চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহজাহান, মোহাম্মদ সাদেক আলী, আশফাক আহমেদ, নাভিদ হোসেন ও ওসমান গনি৷

এঁদের মধ্যে মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন চৌধুরীর গল্প নিয়ে এইচবিও একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছিল৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন সালাহউদ্দিন৷ টুইন টাওয়ার অবস্থিত ‘উইন্ডোজ অন দ্য ওয়ার্ল্ড' রেস্টুরেন্টে৷ সাধারণত রাতের শিফটে কাজ করতেন তিনি৷ কিন্তু রাতে গর্ভবতী স্ত্রীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন বলে সেদিন কাজ করছিলেন সকালের শিফটে৷ সালাহউদ্দিনের মৃত্যুর ৪৮ ঘণ্টা পর সেই সন্তানের জন্ম হয়েছিল৷

সালাহউদ্দিনের সঙ্গে একই রেস্টুরেন্ট কাজ করতেন তিন সন্তানের জনক সাব্বির আহমেদ৷

নিহত হওয়া মোহাম্মদ শাহজাহান কম্পিউটার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে কাজ করতেন মার্শ অ্যান্ড ম্যাকলেনেনে৷

আবুল কাশেম চৌধুরী ক্যান্টর ফিটসগেরাল্ড সিকিউরিটিজ-এ সিনিয়র অ্যাসিস্টেন্ট অ্যানালিস্ট ছিলেন৷

অন্যদের মধ্যে মোহাম্মদ সাদেক আলী ছিলেন সংবাদপত্র বিক্রেতা৷

আশফাক আহমেদ, নাভিদ হোসেন ও ওসমান গনি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি৷

জেডএইচ/কেএম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য