1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাদালকে হারিয়ে নতুন সুপারস্টারের আগমন!

৩ জুলাই ২০১৪

মায়ের কথা শুনে জেদ চেপেছিল৷ তাঁকে ভুল প্রমাণ করতে গিয়ে এমন কীর্তি গড়েছেন তাতে অস্ট্রেলিয়া জুড়ে শুরু হয়ে গেছে কিরিয়সের স্তুতি৷ নাদালকে হারানোর পর থেকে কিরিয়সের মাঝেই আগামী দিনের সুপারস্টারকে দেখছে অস্ট্রেলিয়া৷

https://p.dw.com/p/1CUWu
গ্রীক বংশোদ্ভুত অস্ট্রেলিয়ান বাবা এবং মালয়েশিয়ান বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান মায়ের সন্তান কিরিয়সছবি: Reuters

উইম্বলডনে এবার তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ১৯ বছর বয়সি নিক কিরিয়স৷ রাফায়েল নাদালকে ৭-৬ (৫), ৫-৭, ৭-৬ (৫) গেমে হারিয়ে উঠে গেছেন কোয়ার্টার ফাইনালে৷ ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে আসা বিশ্বের ১৪৪ নম্বর খেলোয়াড়ের কাছে পুরুষদের বিশ্বসেরা, ১৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম একক জয়ী নাদালের এই হার দেখে টেনিসবিশ্ব হতবাক৷ অস্ট্রেলিয়ায় বিস্ময়ের চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে মুগ্ধতা৷ সবাই বলছেন, অনেক দিন পর আবার একজন সুপারস্টার পেতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়াঙ্গন৷

গ্রীক বংশোদ্ভুত অস্ট্রেলিয়ান বাবা এবং মালয়েশিয়ান বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান মায়ের সন্তান কিরিয়স নিজেও আগে কখনো ভাবেননি রাফায়েল নাদালকে তাঁর পক্ষে হারানো সম্ভব৷ ম্যাচের আগে এক সাক্ষাৎকারের তাঁর মা নোরলায়লা তো বলেই দিয়েছিলেন, কিরিয়সের জন্য নাদাল নাকি খুব বেশি শক্ত প্রতিপক্ষ৷ তার মানে নাদালের জয় সুনিশ্চিত৷ মায়ের এ কথা শুনে জেদ চেপে যায় কিরিয়সের৷ কোর্টে তাই দেখা গেল আত্মবিশ্বাসে ভরপুর, কৌশলে নিপুণ এক কিশোরকে৷ প্রথম সেট জিতে যান টাইব্রেকারে৷ তারপর আর ফিরে তাকাননি৷ ৩৭টি ‘এইস'-এর তোপে স্প্যানিশ তারকাকে একরকম নাস্তানাবুদ করেই কিরিয়স উঠে যান শেষ আটে৷ ব়্যাকিংয়ে একশোরও নীচের কোনো খেলোয়াড়ের কাছে এক নম্বরের হার ২২ বছরে এই প্রথম দেখলো টেনিস৷

French Open 2014 Halbfinale Rafael Nadal
রাফায়েল নাদালছবি: picture-alliance/dpa

এমন অসাধারণ এক জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশংসার বন্যায় ভাসছেন ক্যানবেরায় জন্ম নেয়া নিক কিরিয়স৷ টেনিসের সাবেক সুপারস্টাররাও যোগ দিয়েছেন প্রশংসাকারীর দলে৷ যুক্তরাষ্ট্রের জন ম্যাকেনরো ১৯ বছর বয়সি কিরিয়সের মাঝে খুঁজে পেয়েছেন ১৭ বছর বয়সে টেনিসে সাড়া জাগানো জার্মান গ্রেট বরিস বেকারকে৷ কেউ মনে করছেন কিরিয়স অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা মার্ক ফিলিপুসিসের মতো৷ কারো চোখে তিনি তরুণ পিট সাম্প্রাস৷

অস্ট্রেলিয়ার পত্রপত্রিকাও ছেয়ে গেছে নিক কিরিয়সের প্রশংসায়৷ সাধারণ মানুষ থেকে দেশে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত সবাই এক টিনএজারের টেনিস প্রতিভা দেখে মুগ্ধ৷ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টোনি অ্যাবট টুইটারে লিখেছেন, ‘‘নিক কিরিয়স, অসাধারণ পারফর্ম্যান্স৷ তোমাকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া এর চেয়ে বেশি গর্বিত হতে পারতো না৷ কী অসাধারণ জয়! কী চমৎকার মানসিকতা!''

এসিবি/এসবি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য