1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাভিদের মৃত্যুদণ্ড: জার্মান রাষ্ট্রদূতকে ইরানের তলব

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

কেন জার্মান রাষ্ট্রদূত নাভিদের মৃত্যুদণ্ডের প্রতিবাদ করেছেন, এই অভিযোগে তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে কথা শোনালো ইরানের প্রশাসন।

https://p.dw.com/p/3iTVM
ছবি: picture-alliance/ANP/E. Elzinga

শনিবারই কুস্তিগির নাভিদ আফকারিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ইরান। যা নিয়ে গোটা বিশ্বে আলোড়ন শুরু হয়েছে। ইরানের এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে বহু দেশ। তারই জেরে সোমবার জার্মান রাষ্ট্রদূতকে তলব করে তেহরান। তাঁকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, ইরানে বসে বিদেশের কোনও দূতাবাস এ ভাবে তাদের সমালোচনা করতে পারে না। উল্লেখ্য, নাভিদ আফকারির মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে টুইট করেছিল ইরানের জার্মান দূতাবাস।

২০১৮ সালে রিসেশনের সময় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছিলেন ২৭ বছরের কুস্তিগির নাভিদ। শুধু ইরান নয়, কুস্তিগির হিসেবে গোটা বিশ্বেই তিনি জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করায়, বিক্ষোভ অন্য মাত্রা পেয়ে যায়। নাভিদের প্রতিবাদ অস্বস্তিতে ফেলে ইরান সরকারকে। এর কিছুদিনের মধ্যেই নাভিদকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ আনা হয়, নাভিদ প্রতিবাদের সময় এক সরকারি কর্মচারীকে হত্যা করেছেন। পুলিশের জেরায় নাভিদ সে কথা স্বীকারও করে নেন। যদিও পরবর্তীকালে আদালতে নাভিদ এবং তাঁর আইনজীবী জানান, লকআপে অত্যাচার করে নাভিদের মুখ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছিল।

ইরান নাভিদের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করার পর থেকেই বিশ্ব জুড়ে আলোড়ন শুরু হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অ্যাথলিট থেকে রাজনীতিবিদ ইরানের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে। শনিবার তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পরে সমালোচনা আরও বাড়ে। জার্মানি, অ্যামেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সকলেই এর কড়া সমালোচনা করেছে। ইরানে অবস্থিত জার্মান দূতাবাস থেকেও এর সমালোচনা করা হয়। তারই জেরে রাষ্ট্রদূতকে তলব করে ইরান প্রশাসন। তাঁকে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়, ইরানে বসে এমন কাজ করতে পারেন না তিনি। একই সঙ্গে জানানো হয়, বিশ্বের চাপের কাছে মাথা নত করবে না ইরান। সেখানে ইসলামিক আইন মেনে দেশ পরিচালিত হয়। ভবিষ্যতেও তার ব্যত্যয় হবে না।

নাভিদের মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রতিদিন সরকারি ওয়েবসাইট খুলে তিনি দেখতেন তাঁর ছেলে বেঁচে আছেন, না কি মরে গিয়েছে। শনিবার সেই ওয়েবসাইট থেকেই তিনি ছেলের মৃত্যুসংবাদ পান।

নাভিদের মা এবং আইনজীবীর অভিযোগ, মৃত্যুদণ্ডের পরে ছেলের অন্তিম সৎকারেও যেতে পারেননি তাঁর পরিবারের সদস্যরা। প্রশাসন জেলের ভিতরেই কবর দেয় নাভিদকে। নাভিদের মা জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ড নয়, তাঁর ছেলেকে হত্যা করেছে ইরানের সরকার।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)