1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাসা’র কৃত্রিম উপগ্রহ সাগরে গিয়ে পড়ল

৫ মার্চ ২০১১

শুক্রবার নাসা’র পৃথিবী পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট ‘গ্লোরি’ তার কক্ষপথে পৌঁছতে ব্যর্থ হয় এবং প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়ে৷ কারণ: তার সুরক্ষা আবরণ নিক্ষেপের পর খুলে যায়নি৷

https://p.dw.com/p/10Tr8
ছবি: picture-alliance/ dpa

কাজেই ৪২৪ মিলিয়ন মূল্যের কৃত্রিম উপগ্রহটি জলে গেল৷ স্যাটেলাইটের মোচাকৃতি নাকের চারপাশে ঝিনুকের মতো লাগানো আবরণটি না খোলার ফলে স্যাটেলাইটটি বড় বেশী ভারী থেকে যায় এবং কক্ষপথে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়৷ গোড়ায় ইঞ্জিনিয়াররা কোনোরকম গলদ দেখেননি৷ অথচ উড়ালের কয়েক মিনিটের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, আবরণটি পৃথক হয়ে যাবে না৷

এই স্যাটেলাইটটির কাজ হতো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কি পরিমাণ অ্যারোসল আছে, তার পরিমাপ করা৷ তার নিক্ষেপের আদত তারিখ ছিল ২৩শে ফেব্রুয়ারি, কিন্তু যাত্রা শুরু হবার ১৫ মিনিট আগে একটি অপ্রত্যাশিত গ্রাউন্ড কন্ট্রোল রিডিং-এর ফলে সে যাত্রা ভঙ্গ করতে হয়৷ শুক্রবার গ্লোরি আবার তার যাত্রা শুরু করে একটি চার পর্যায়ের টরাস-এক্সএল রকেটের মাথায় চড়ে৷ কিন্তু নাসা শীঘ্রই খবর দেয় যে রকেটের গতি কমে আসছে এবং গ্লোরি তার কক্ষপথে পৌঁছবে না৷

অথচ ঠিক এই ধরণের একটি বিপত্তি ঘটেছিল ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে৷ তখন পৃথিবীর কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমন মাপার জন্য নিক্ষিপ্ত নাসা'র একটি স্যাটেলাইট অনুরূপভাবে কক্ষপথে পৌঁছতে ব্যর্থ হয় এবং কুমেরুতে গিয়ে পড়ে৷ সেবারেও যাত্রা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রমাদ: যে ‘ফেয়ারিং' স্যাটেলাইটটিকে ওপরে ওঠার সময় সুরক্ষা দেয়, সেটি ঠিকভাবে পৃথক হয়ে যায়নি৷ এখন বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, গ্লোরি একই কারণে ব্যর্থ হয়েছে কিনা, তা বলার আগে আরো কিছু অনুসন্ধানের প্রয়োজন৷

গ্লোরির ওজন ছিল ৫২৮ কিলোগ্রাম৷ তা'তে দু'টো পরিমাপ যন্ত্র বসানো ছিল৷ অবশ্য গ্লোরিকে মহাশূন্যে একা পড়তে হত না৷ সে হতো নাসা'র ‘এ-ট্রেন' নামে পরিচিত পাঁচটি পৃথিবী পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইটের ষষ্ঠ৷ আকোয়া, ক্লাউডস্যাট, ক্যালিপসো, প্যারাসল এবং অরা প্রত্যেক দ্বিপ্রহরে দঙ্গল বেঁধে উড়ে বিষুবরেখা পার হয়৷ গ্লোরি হতো সেই দলে ষষ্ঠ৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: জান্নাতুল ফেরদৌস