1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নায়ক সালমান শাহর মৃত্যু ২৭ বছরেও রহস্য!

৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

২৭ বছরেও বাংলাদেশের এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহর মৃত্যু মামলার নিষ্পত্তি হয়নি৷ ছেলে মৃত্যুর সঠিক তথ্য জানতে আরো তদন্ত চান তার মা৷

https://p.dw.com/p/3zxVD
ফাইল ছবিছবি: bdnews24.com

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিন দফা তদন্তের পর এ চিত্রনায়কের মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা' বলা হলেও তা মানতে রাজি নন তার পরিবার৷ সালমানের মায়ের দাবি এটি ‘হত্যাকাণ্ড'৷ সালমানের ভক্তকূলও তেমনই বিশ্বাস করেন৷ তারাও সালমান শাহর মৃত্যুর ‘আসল রহস্য' উদঘাটনের দাবি জানিয়ে আসছেন ৷ 

তবে সর্বশেষ তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে বলেছে, চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে পারিবারিক কলহ এবং স্ত্রী সামিরা হকের কারণে মা নিলুফা চৌধুরী ওরফে নীলা চৌধুরীকে ছেড়ে থাকার মানসিক যন্ত্রণায় ভুগেই অভিমানী সালমান শাহ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন৷ ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়ক সালমান শাহ (চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন) ঢাকার ইস্কাটনের ফ্ল্যাটে মারা যান৷ বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে সে সময় তার জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে৷

ছেলের মৃত্যুর পর প্রথমে একটি অপমৃত্যু মামলা করেন সালমান শাহর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী৷ পরে ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগ করেন এবং ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই অভিযোগটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তর করার আবেদন জানান তিনি৷ 

তখন অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেয় আদালত৷ ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর সিআইডি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে আদালতে জানায়, সালমান শাহ ‘আত্মহত্যা' করেন৷ 

সিআইডির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে বাবা কমরউদ্দিন চৌধুরী রিভিশন মামলা দায়ের করেন৷ পরে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠায় আদালত৷

দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট মহানগর হাকিম ইমদাদুল হকের দাখিল করা  প্রতিবেদনেও হত্যার অভিযোগ নাকচ করা হয়৷

সালমান শাহের বাবার মৃত্যুর পর তার মা নীলা চৌধুরী মামলটি চালিয়ে যান৷ ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নীলা চৌধুরী বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনে ‘নারাজি' দেন৷ তিনি ১১ জনের নাম উল্লেখ করে দাবি করেন, এরা তার ছেলের হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে৷ পরে মামলাটি তদন্ত করে র‌্যাব৷ এতে রাষ্ট্রপক্ষ আপত্তি তোলায় ২০১৬ সালের ২১ অগাস্ট ঢাকার বিশেষ জজ ৬-এর বিচারক ইমরুল কায়েশ মামলাটি আর তদন্ত না করার আদেশ দেন র‌্যাবকে৷ 

পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ৷ চার বছর তদন্তের পর ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তাদের দেওয়ান চূড়ান্ত রিপোর্টে বলা হয়, ঘটনার সময় উপস্থিত ও ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ৫৪ জন সাক্ষীর জবানবন্দি বিশ্লেষণ করে, জব্দ করা আলামত পর্যালোচনা করে হত্যার অভিযোগের কোনো প্রমাণ মেলেনি৷  সালমানের মা নীলা চৌধুরী সন্তুষ্ট নন ওই প্রতিবেদনে৷ ছেলের মৃত্যুর সঠিক তথ্য জানতে আরো তদন্ত চান তিনি৷

গত ৩১ অগাস্ট ঢাকার মহানগর হাকিম  মামুনুর রশীদের আদালতে মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের তারিখ ছিল৷ তবে সালমান শাহের মা লন্ডনে থাকায় তার আইনজীবী ‘নারাজি' দাখিলে সময়ের আবেদন করায় আদালত সে জদাবি মঞ্জুর করে শুনানির নতুন তারিখ দেওয়া হয় ৩১ অক্টোবর৷

বাদী পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘পিবিআই যে প্রতিবেদন দিয়েছে আমরা তা মানিনি৷ আমরা মনে করছি মামলাটি সঠিকভাবে তদন্ত হয়নি৷ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আগে পিবিআই সালমান শাহের মায়ের সাথে যোগাযাগ করেনি৷ সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমরা চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিষয়টি জানতে পেরেছি৷ আমরা মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন করব৷ র‌্যাব বা অন্য কোনো সংস্থাকে দিয়ে মামলাটি যেন পুনরায় তদন্ত করা হয়৷ সেটা না হলে আমরা উচ্চ আদালতে যাব৷''

 এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য