1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিউ ইয়র্কে সন্ত্রাসী হামলা

১ নভেম্বর ২০১৭

মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে এক ব্যক্তি পথচারী ও সাইকেল-আরোহীদের উপর ট্রাক  চালিয়েছে৷ আইএস সরাসরি এই হামলার সঙ্গে যুক্ত কিনা, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে৷

https://p.dw.com/p/2mpwW
আবার সন্ত্রাসী হামলার সাক্ষী হলো নিউ ইয়র্ক
ছবি: Reuters/B. McDermid

ফ্রান্সের নিস শহরে হামলার যে ধরন শুরু হয়েছিল, তা অনুসরণ করে প্রায় ১৫ মাস ধরে ইউরোপের একাধিক শহরে হামলা চালিয়েছে আততায়ীরা৷ ট্রাক বা বড় আকারের গাড়ি চালিয়ে নিরীহ পথচারীদের ধাক্কা দিয়ে যত বেশি সম্ভব হত্যার অপেক্ষাকৃত ‘সহজ' উপায় বেছে নিয়েছে তারা৷ এবার নিউ ইয়র্ক শহরেও একই কায়দায় ভয়াবহ হামলা চালালো এক আততায়ী৷

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর তিনটার পর ভাড়া করা পিকআপ ট্রাক নিয়ে হাডসন নদীর তীরে পথচারী ও সাইকেল আরোহীদের পিষে দিলো এক আততায়ী৷ হামলায় আট জন নিহত ও প্রায় ১২ জন আহত হয়েছে৷ নিহতদের মধ্যে ৫ জন আর্জেন্টিনার নাগরিক৷

তবে আরও প্রাণহানির আশঙ্কার আগেই পেটে পুলিশের গুলি লাগায় হামলাকারীর ট্রাকটি এক স্কুল বাসের সঙ্গে ধাক্কা মারে৷ তারপর সে চালকের আসন থেকে নেমে পালাবার চেষ্টা করে৷ কিন্তু পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়৷ ২৯ বছর বয়সি এই হামলাকারী ২০১০ সালে আইনি পথেই উজবেকিস্তান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিল বলে জানা গেছে৷ তার নাম সম্ভবত সায়ফুল্লো সাইপভ৷  কিছু সূত্র অনুযায়ী সে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট-এর নামে এই হামলা চালিয়েছে বলে এক লিখিত বিবৃতি ট্রাকে রেখে দিয়েছিল৷ তবে তদন্তকারীদের প্রাথমিক ধারণা, সে একাই এই হামলার ষড়যন্ত্র করেছিল৷ এফবিআই, নিউ ইয়র্ক পুলিশসহ বেশ কিছু নিরাপত্তা এজেন্সি তদন্ত শুরু করেছে৷

নাইন-ইলেভেনের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর নিউ ইয়র্ক শহরে কোনো একক হামলায় এত মানুষের প্রাণহানি ঘটেনি৷ নিউ ইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাসিও বলেন, এটি অবশ্যই সন্ত্রাসী হামলা – অত্যন্ত কাপুরোষিত এই হামলায় নিরীহ মানুষদের হত্যা করা হয়েছে৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কিছু মুসলিম-প্রধান দেশ থেকে অ্যামেরিকার প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়া নিয়ম চালু করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ নিউ ইয়র্কের হামলার পর তিনি ‘এক্সট্রিম ভেটিং' কর্মসূচি আরও কড়া করে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য