1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিজদেশে ফিরে এলো মৎস্যকন্যা

২২ নভেম্বর ২০১০

শীতকে উপেক্ষা করে ডেনমার্ক’এর হাজার হাজার মানুষ সেদিন ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে এসেছিলো৷ উদ্দেশ্য প্রিয় মৎস্য কন্যাকে স্বাগত জানানো৷ কেনইবা নয়৷ দীর্ঘ আটমাস চীনের শাংহাই ঘুরে নিজদেশে যে ফিরে এলো মৎস্যকন্যা৷

https://p.dw.com/p/QFIU
Mermaid, Chinese Pop, China মৎস্যকন্যা, ডেনমার্ক’
ফাইল ছবিছবি: picture-alliance/ dpa

ডেনমার্কের প্রতীক এই মৎস্যকন্যাই বিশ্বদরবারে তুলে ধরেছে দেশটিকে৷ তার ৯৭ বছরের ইতিহাসে এই মার্চ মাসে প্রথমবারের মতো কোপেনহেগেনের পোতাশ্রয় থেকে তার মূর্তি নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো সাংহাই এর ওয়ার্ল্ড এক্সপো প্রদর্শনীতে৷ তাই প্রদর্শনী শেষে আবার যখন হান্স ক্রিস্টিয়ান আন্ডারসেন'এর রূপকথার মৎস্যকন্যার মূর্তিটি ফিরিয়ে আনা হলো, কোপেনহেগেনে ঢল নেমেছিলো পর্যটকদের৷ পতাকা নিয়ে এবং ঢাকঢোল বাজিয়ে তাকে স্বাগত জানালো ডেনিমার্কবাসীরা৷ মূর্তিটির সামনে দাড়িয়ে কোপেনহেগেনের মেয়র ফ্রাঙ্ক ইয়েনজেন বললেন, ‘‘ যদিও আমরা তোমাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরে গর্ববোধ করেছিলাম, কিন্তু আমরা তোমার অনুপস্থিতি অনুভব করেছি৷ ডেনমার্ক তোমার অভাব অনুভব করেছে৷ সারা বিশ্বের যেসব পর্যটক এখানে এসেছে তারাও তোমার অভাববোধ করেছে৷'' এরপর মেয়র, ঘরে ফেরা উপলক্ষ্যে একটি লাল গোলাপ উপহার দেন মৎস্যকন্যাকে৷

মৎসকন্যাকে ডেনমার্কের জাতীয় সম্পদ হিসেবে মনে করেন ডেনিশরা৷ ছয় মাসব্যাপী সাংহাই এর আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে মৎস্য কন্যার মূর্তিটি পাঠানো হলে তা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছিলো ডেনমার্কে৷ কোপেনহেগেনের জনমত জরিপ দেখা গেছে, বেশিরভাগ কোপেনহেগেনবাসী মূর্তি পাঠানোর ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেছিলো৷ বিষয়টি স্বীকার করে ইয়েনজেন জানালেন, ক্ষুব্ধ ডেনমার্কবাসীদের কাছ থেকে অনেক ই-মেইলও পেতে হয়েছে তাকে৷

মৎস্যকন্যার অনুপস্থিতি অনুভব করেছেন লেনে হানজেনের মতো কোপেনহেগেনের অনেকেই৷ বার্তা সংস্থা এএফপি'কে এই বৃদ্ধা জানান, প্রতিদিন পোতাশ্রয়ের সেই জায়গাটিতে তিনি এসেছেন৷ তাই মৎস্যকন্যা ফিরে আসায় তিনি বলছেন, ‘‘তাকে আবারও দেখতে পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত, এবং কেবল আমি নই৷'' তাঁর কথায় সায় দিয়ে লনে পেটারজেন বললেন, মৎস্যকন্যাকে আবারও আগের জায়গায় দেখতে পেয়ে তাঁর অনেক ভালো লাগছে৷ তিনি বলেন, ‘‘শহর কর্তৃপক্ষ কেন যে এমন অবিবেচকের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো আমি এখনও বুঝতে পারিনা৷ তার জায়গা কোপেনহেগেনে৷ শাহাই বা অন্য কোথাও নয়৷''

কিন্তু মেয়র বলছেন, মে মাসের ১ তারিখ থেকে শাংহাই এর আন্তর্জাতিক এক্সপো প্রদর্শনীর অন্যতম আকর্ষণ ছিলো ডেনিশ প্যাভিলিয়নের মৎস্যকন্যা৷ অর্ধকোটির বেশি মানুষ সেইসময় ডেনমার্কের প্যাভিলিয়নে ভিড় জমিয়েছিলো আন্ডারসেনের রূপকথার নায়িকাকে একনজর দেখতে৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক