1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদী ১৬ দিনের রিমান্ডে

৩০ জুন ২০১০

জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহম্মদ মুজাহিদ ও নায়েবে আমির দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মুক্তিযোদ্ধা হত্যাসহ ৭টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/O7A9
ফাইল ছবিছবি: AP

এরমধ্যে পৃথক ৫টি মামলায় তিনজনের ১৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত৷ বুধবার বিকেলে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নিজামী, মুজাহিদ ও সাঈদীকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়৷ রাষ্ট্রদ্রোহ সহ ৫টি পৃথক মামলায় শুনানি শেষে ১৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আলী আহসান৷ এ সময় আদালত চত্বরে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে জামায়াতের ৩০ নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ৷ পাবলিক প্রসিকিউটর কামরুল ইসলাম রিমান্ডের শুনানিতে অংশ নেন৷ এদিন সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় রিমান্ডের শুনানি শেষ হয়৷

এই তিনজন জামায়াত নেতাকে চলতি বছরের ১২ই ফেব্রুয়ারি উত্তরা ১৪ নম্বরের একটি বাসায় বসে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক ও ৭১-এ মুক্তিযোদ্ধা হত্যাসহ ৭টি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে৷

Matiur Rahman Nizami
আদালতে মতিউর রহমান নিজামীছবি: Mustafiz Mamun

গত ১৭ই মার্চ শিবিরের এক সভায় নিজামীকে মহানবীর সঙ্গে তুলনা করায় ৫ জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়৷ এই মামলায় হাজির না হওয়ায় ৩০শে মার্চ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালত সমন জারি করে৷ তাদের মঙ্গলবারের মধ্যে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল৷ এদিন শুধুমাত্র শিবির নেতা ইয়াহিয়া হাজির হয়ে জামিন নেন৷ নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদী ও রফিকুল ইসলাম হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করেন আদালত৷ ওই পরওয়ানার ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেলেই নিজামী, মুজাহিদ ও সাঈদীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ মহানগর জামায়াতের আমির রফিকুল ইসলাম এখনো পলাতক৷

এদিকে, জামায়াত নেতাদের গ্রেফতারের পর কর্মীরা সারাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে ভাঙচুর ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে৷ ভাঙচুরের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জামায়াত-শিবিরের অন্তত ৮২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ নেতাদের গ্রেপ্তার ও রিমান্ডের প্রতিবাদে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক