1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিজ ঐতিহ্য রক্ষায় লড়ছে বাগদাদ

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০

বাগদাদ হাজার বছরের ঐতিহ্যের স্বাক্ষী ক্ষতিগ্রস্ত সংস্থাপনাগুলো রক্ষা করতে লড়ছে৷ কারণ, এর মালিকরা ঐ স্থাপনাগুলো ভেঙ্গে সেখানে নতুন স্থাপনা তৈরি করছেন৷

https://p.dw.com/p/M64z
বাগদাদের একটি দালানছবি: DW

বাগদাদ পঞ্চাশ থেকে দু'শ বছরের পুরানো ১৬০০ টি স্থাপনাকে তার ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে৷ এগুলোর মধ্যে রয়েছে - মসজিদ, চার্চ, খান ও বণিকদের প্রাসাদ অঙ্গন, গণ স্নানাগার, প্রাসাদ, ওটোম্যানের ও ইরাকের রাজতন্ত্রের সময়কার ঐতিহাসিক বাড়ি প্রভৃতি৷ স্থাপনাগুলোর বেশিরভাগই অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, যুদ্ধ, নিম্নমানের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং বন্যার কারণে ক্ষতির শিকার হয়েছে৷

যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ইরাক তার এই ঐতিহ্যময় স্থাপনাগুলো টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে৷ ২০০৩ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সৃষ্ট পরিস্থিতির সুযোগ নেয় অনেকেই এবং তাদের বাড়িগুলো ভেঙ্গে ফেলেন৷ কারণ তখন ২০০২ সালের পাশকৃত আইন কার্যকর ছিল না৷

ঐ আইন অনুযায়ী চিহ্নিত ১৬০০ স্থাপনার মালিকরা যদি তা ভাঙ্গতে বা কোন প্রকার ক্ষতিসাধন বা কোন প্রকারের বেআইনী কাজ করেন তাহলে তাদের দশ বছরের কারাদন্ড দেয়ার বিধান রয়েছে৷ আর যদি কেউ স্থাপনাগুলোর কাঠামো বা আসল রূপের কোন প্রকার পরিবর্তন করেন তাহলে আইনে তাকে সাত বছরের কারাদন্ড দেয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে৷

Firdoos squa, Iraq heute, Baghdad
বাগদাদের ঐতিহ্য রক্ষায় প্রচুর অর্থের প্রয়োজনছবি: DW

ইরাকের ঐতিহ্য বিভাগের পরিচালক ফউজিয়া আল-মালিকি বাগদাদের এই স্থাপনাগুলো টিকেয়ে রাখতে উদ্যোগ নিয়েছেন৷ আর এই কারণে মৃত্যুর হুমকি সহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তিনি৷ তিনি বলেন, কীফা, আল-রশিদ, আদামিয়া ও হাইফা সড়কের সংস্থাপনাগুলোর বেশিরভাগই ২০০৩ সালে সুযোগ সন্ধানী মানুষের শিকারে পরিণত হয়েছে৷

স্থাপনাগুলোর মালিকেরা বলছেন, তাদের বাড়িগুলো টিকিয়ে রাখতে সংস্কার প্রয়োজন৷ আর সে জন্য প্রয়োজন অর্থের৷ তারা চাইছেন তাদের বাড়িগুলো হয় ঐতিহ্য বিভাগের কিনে নেয়া উচিৎ না হয় তাদেরকে অর্থ সহায়তা দেয়া উচিত যাতে তারা সংস্কার করতে বা ধ্বংস করে নতুন কিছু করতে পারে৷

প্রতিবেদক: আসফারা হক

সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার