1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘নির্বাচনের আগে শেষ ভারত সফরে হাসিনা’

৭ এপ্রিল ২০১৭

প্রটোকল ভেঙে বিমানবন্দরে এসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ ভারতের গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাসিনার সফর নিয়ে রয়েছে জানা-অজানা নানা তথ্য৷

https://p.dw.com/p/2asZY
Indien Sheikh Hasina mit Narendra Modi
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Swarup

ভারতের রাষ্ট্রপ্রতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পর্ক কতটা গভীর তা নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কলকাতার টেলিগ্রাফ পত্রিকা৷ এতে দাবি করা হয়েছে, অতীতে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে হাসিনাকে সরাতে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন যে চেষ্টা করেছিলেন, তাতে বাধ সেধেছিলেন প্রণব৷ বিস্তারিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশের রাজনীতির নানা দিক এবং হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসের বিরোধের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে৷

এদিকে, ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক টাইমস অফ ইন্ডিয়া লিখেছে, আগামী নির্বাচনে প্রবেশের আগে শেষ বারের মতো ভারত সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ পত্রিকাটির প্রতিবেদনে হাসিনার সফরের সময় বহুল আলোচিত তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর না হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে৷ ‘‘এটা পানিবিহীন সফর'' - পত্রিকাটি নিজস্ব সূত্রগুলো থেকে এমনটাই জেনেছে বলে লেখা হয়েছে৷

অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে সর্বাধিক পঠিত বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারের শিরোনাম, ‘‘দিল্লি পৌঁছলেন হাসিনা, প্রোটোকল ভেঙে নিজেই বিমানবন্দরে হাজির মোদী৷'' ভারতের বর্তমান শাসকদলের সঙ্গে হাসিনা সরকারের সম্পর্কের গভীরতা বোঝাতে একই ধরনের শিরোনাম ব্যবহার করেছে আরো কয়েকটি পত্রিকা৷ ভারতের সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে যে, হাসিনাকে স্বাগত জানাতে মোদী তাঁর বাসভবন থেকে বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় দিল্লির কোনো রাস্তায় ট্রাফিক বন্ধ করা হয়নি, যা সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর চলাচলের সময় করা হয়ে থাকে৷ 

প্রধানমন্ত্রী মোদীর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেও হাসিনাকে স্বাগত জানানোর কথা বলা হয়েছে৷ এক টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘‘দু'দেশের মধ্যকার সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ৷''

তবে ভারতে নির্বাসিত বাংলাদেশি লেখক তসলিমা নাসরিন টুইটারে দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে দেয়া পার্টিতে তাঁকে চাকুরি হারানোর ভয়ে নতুন দিল্লিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা আমন্ত্রণ জানাননি৷ তাঁকে দেশে ফিরিয়ে নিতে হাসিনা কোনো উদ্যোগ নেননি বলেও লিখেছেন নাসরিন৷

উল্লেখ্য, চারদিনের ভারত সফর শেষে আগামী ১০ এপ্রিল দেশে ফিরে যাবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷

সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান