1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচন বয়কট করলো সু চির দল

৩০ মার্চ ২০১০

যা ভাবা হয়েছিল তাই হলো৷ মিয়ানমারের বিরোধী দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি জানিয়ে দিল যে, তারা জান্তা সরকারের নতুন আইনের আওতায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না৷

https://p.dw.com/p/MhXh
(ফাইল ছবি)ছবি: picture alliance/dpa

সামরিক সরকার ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে নতুন একটি নির্বাচনী আইন৷ নতুন এই আইনে বলা হয়েছে, আদালতে অপরাধী সাব্যস্ত হয়েছে এমন কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না৷ নতুন এই নির্বাচনী আইনের আওতায়, ১৭ সদস্যের এই কমিশন নিয়োগ করা হয়েছে৷ তবে সমালোচকরা বলছেন, এই কমিশন মোটেই নিরপেক্ষ নয়৷ কারণ, সামরিক সরকার তাদের পছন্দমত লোক নিয়োগ করেছে৷ নতুন এই কমিশনের প্রথম কাজটি হবে দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশী সময়ের কাঙ্খিত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা৷ ধারণা করা হচ্ছে, এ বছরের শেষ নাগাদ এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে৷

অবশ্য এই নির্বাচনী আইনের সঙ্গে সঙ্গে জান্তা সরকার ১৯৯০ সালের সাধারণ নির্বাচন বাতিলের ঘোষণা দেয়৷ ঐ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিল সু চি'র নেতৃত্বাধীন প্রধান বিরোধীদল দ্য ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি৷ নতুন নির্বাচন আইনের সঙ্গে আগের নির্বাচনের অসঙ্গতি থাকাকে বাতিল করার কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে৷

ইয়াঙ্গনে পার্টির এক বিশেষ সময় অনুষ্ঠিত হবার পরা সার্বাদিকদের কাছে আসন্ন নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেয়া হয়৷ তারা বলেছে, তাদের পার্টি এই নির্বাচন আইনের আওতায় তালিকাভুক্ত হবে না৷ আর বলাই বাহুল্য, তালিকাভুক্তহীন কোন রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না৷ এনএলডির মুখপাত্র নিয়ান উইন জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের বন্দি নেত্রীর কাছ থেকে প্রাপ্ত বার্তার ভিত্তিতে দলের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার পর, আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এনএলডি নির্বাচন বয়কট করবে৷ আমরা জানি, এই সিদ্ধান্তের কারণে আমাদের দলকে সরকারি আরও অনেক নেতিবাচক সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হতে হবে৷ আমাদের পার্টি বাতিল করে দেয়া হতে পারে, কিন্তু আমরা লুপ্ত হবো না৷''

এখানে বলে রাখা ভালো যে পার্টি তালিকাভুক্তির শেষ তারিখ ৬ মে৷ মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি'র নেত্রী নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সু চি গত ২০ বছরের মধ্যে প্রায় ১৪ বছরই হয় কারাগারে না হয় গৃহবন্দি অবস্থায় কাটিয়েছেন৷ মিয়ানমারের সামরিক সরকার গণতন্ত্রের পথে যাত্রা নামক বিশেষ কর্মসূচীর আওতায় বছরের শেষ প্রান্তে এই নির্বাচন করতে চাইছে৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ