1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘নি:শব্দে মানুষ মারতে’ সক্ষম বোমার জনক মারা গেলেন

৩ ডিসেম্বর ২০১০

নি:শব্দে মানুষ মারতে পারে এমন বোমার জনক স্যামুয়েল টি কোয়েন মারা গেছেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর৷ দীর্ঘদিন ধরে পাকস্থলির ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/QObn
মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান, তিনিই নিউট্রন বোমা তৈরির অনুমতি দিয়েছিলেনছবি: AP

কোয়েনের তৈরি নিউট্রন বোমা দিয়ে ভবনের ক্ষতি না করে, শুধু সেখানে থাকা মানুষগুলোকে মেরে ফেলা যায়৷ কারণ এই বোমা থেকে এমন এক ধরণের পদার্থ বের হয় যেটা দেয়ালের ওপারে থাকা জীবন্ত কোষ মেরে ফেলতে পারে৷

সাধারণ একটি আণবিক বোমা মানুষ মারার পাশাপাশি বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়৷ আশেপাশের সবকিছু ধুলোয় মিশিয়ে দেয়৷ কিন্তু নিউট্রন বোমা সেটা করে না৷ তাইতো এই বোমাকে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হওয়া বিশ্বের সবচেয়ে ‘মানবিক' বোমা হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷

বিশ্বব্যাপী প্রবল সমালোচনা থাকলেও কোয়েন নিজের তৈরি বোমার পক্ষে ছিলেন সবসময়৷ কিছুদিন আগে নিউইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বিশ্বে এটাই একমাত্র বোমা যেটা দিয়ে পৃথিবীর কোনো কিছু ধ্বংস না করেই যুদ্ধ শেষ করা সম্ভব৷

তবে আশার কথা হলো এই বোমা এখন আর তৈরি হয়না৷ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়ে বোমাটি তৈরি করেছিলেন কোয়েন৷ অবশ্য এর আগে তিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি, লিন্ডন জনসন ও জিমি কার্টার কোয়েনকে এই বোমা তৈরির অনুমতি দেননি৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই