1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নীল পাখনা টুনা মাছ শিকার ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে

২০ মার্চ ২০১০

সমুদ্রের ফিন টুনা বা নীল পাখনা টুনা শিকার এবং বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ৷ ইউরোপীয় ইউনয়নের সঙ্গে এই সিদ্ধান্তে যোগ দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷

https://p.dw.com/p/MY0m
ছবি: AP

কেবল এশিয়ার দুই একটি, কিন্তু প্রভাবশালী দেশ এই মাছ বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রয়েছে৷

গত বছর এই মাছ শিকার এবং এর বাজারজাতের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাবটি দিয়েছিল মোনাকো৷ সেই দেশের সরকারের পক্ষ থেকে বিশ্ববাসীর কাছে এই মাছ গ্রহণ না করে একে বাঁচিয়ে রাখার আহ্বান জানানো হয়েছিল৷ নীল পাখনা টুনা মাছের ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোতে বেশ জনপ্রিয়তা থাকলেও এই মাছটির ৭৫ ভাগ গ্রহণ করে জাপান৷ জাপানে টুনা মাছ একটি জনপ্রিয় মাছ৷ আটলান্টিকে টুনা শিকার করে সাধারণত ভূ-মধ্য সাগরের তীরবর্তী দেশগুলো৷ তবে এর বেশিরভাগ রফতানি হয় এশিয়ায়, বিশেষ করে জাপানে৷ জাপানে টুনা মাছের দারুণ কদর৷ এই তো কয়েক দিন আগে টোকিওর একটি বাজারে ১ লাখ ৭৫ হাজার ডলার নিলামে একটি টুনা মাছ বিক্রি হয়েছে! বিগত ১০ বছরে জাপানে এটিই সর্বোচ্চ রেকর্ড পরিমান দামে মাছটি বিক্রি হল৷ মাছটির ওজন ছিল ২৬২ কেজি, গড়ে ৪ জন জাপানী মানুষের সমান৷ জাপানের উত্তরে হোনসু দ্বীপ থেকে মাছটি শিকার করা হয়েছিল৷

Roter Thunfisch Japan Tokio Verarbeitung
টোকিওর মাছের বাজারে টুনা মাছ বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছেছবি: AP

গত বছর সমুদ্রের ফিন টুনা বা নীল পাখনা টুনা শিকার নিষিদ্ধের ঘোষণা করেছে ইন্টারন্যাশনাল কমিশন ফর দ্য কনজারভেশন অব আটলান্টিক টুনা বা আইসিসিএটি৷ তারা হুশিয়ারি দিয়ে বলেছে, অবাধে শিকার করতে করতে এ প্রজাতির টুনা বিলুপ্তির দিকে যাচ্ছে৷ এখন মাত্র ১৫ শতাংশ টিকে আছে এই টুনা৷ শিকার বন্ধ না করলে অদূর-ভবিষ্যতে এই সুস্বাদু প্রজাতির মাছটি সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যাবে৷ ফিন টুনাকে বাঁচাতে হলে এর শিকার নিষিদ্ধ করা ছাড়া কোন উপায় নেই৷ যত দিন পর্যন্ত সমুদ্রে এই প্রজাতির টুনার সন্তাষজনক বৃদ্ধির আলামত পাওয়া না যাবে, ততদিন পর্যন্ত এ মাছ ধরা বা রাখতে হবে, বলছে এই পরিবেশবাদী সংগঠন৷

অনেক দিন আগেই বিজ্ঞানীরা পরামর্শ দিয়েছিলেন ফিন টুনা বিলুপ্তির পথে৷ কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আমলে না নিয়ে অবাধে এই মাছ ধরা হচ্ছে৷ ফলে পরিবেশবাদীরা দারুণ কঠিন অবস্থান নিয়েছেন৷ কিন্তু এই উদ্যোগের বিরোধীতা করে জাপানের মৎস মন্ত্রী হিরোতাকা আকামাতসু বলেছেন, তিনি এই মাছ বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে যা প্রয়োজন, তার সবটাই করবেন৷ আর জাপানের মন্ত্রীর এই কথাকে সমর্থন করেছে চীন৷ যদিও তারা এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোন মন্তব্য দেয়নি৷

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই মাছ শিকার এবং বাজারজাত বন্ধে উদ্যোগ গ্রহণ করলেও তা কি করে এটি বাস্তবায়ন করবে সে বিষয়টি স্পষ্ট হয়নি৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম