1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পঁচানব্বই বছরে জানালা দিয়ে ঝাঁপ দিলেন মনিচেলি

১ ডিসেম্বর ২০১০

বিশ্বখ্যাত ইটালিয় চলচ্চিত্র পরিচালক মনিচেলি তাঁর শরীরে দুরারোগ্য ক্যানসারের যন্ত্রণা বোধহয় আর সহ্য করতে পারছিলেন না৷ তাই এই নামজাদা কমেডি ছবি নির্মাতা নিজের জীবন শেষ করে দিলেন হাসপাতালের জানলা দিয়ে ঝাঁপ দিয়ে৷

https://p.dw.com/p/QMOA
মারিও মনিচেলিকে বলা হয় ইটালীয় হাসির ছবির পিতা (ফাইল ফটো)ছবি: SAT 1

মারিও মনিচেলিকে বলা হয় ইটালীয় হাসির ছবির পিতা৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর বিশ্বে চলচ্চিত্রের দুনিয়ায় আসেন মনিচেলি৷ সময়টা ১৯৪৯৷ ‘আমিচি মেই', ‘ই সোলিটি ইগনোটি'-র মত তাঁর বেশ কিছু ছবি মনে রাখার মত৷ স্যাটায়ার বা ব্যঙ্গের এক কৌণিক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল মনিচেলির ছবির বিষয়৷ বিষয় তিনি তুলে নিতেন জীবন থেকেই৷ তাঁর কিছু ছবি গ্রেট ফিল্মের স্বীকৃতি পেয়েছে৷ সারা জীবনে অসংখ্য সম্মান পেয়েছেন৷ চারবার তাঁর তৈরি ছবি অস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছিল৷ সারাজীবনে ৭০ টি ছবি নির্দেশনা দিয়েছিলেন এই পরিচালক৷

প্রস্টেট গ্ল্যান্ডে শেষ পর্যায়ের ক্যানসারে ভুগছিলেন মনিচেলি৷ রোম শহরের সান জিয়োভানি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয় কয়েকদিন আগে৷ মঙ্গলবার সেই হাসপাতালেরই পাঁচতলা থেকে তিনি ঝাঁপ দেন৷ অসুস্থ বৃদ্ধের মৃত্যু হয় প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই৷ একদা এই নামজাদা পরিচালক কমেডি বা ব্যঙ্গের ছবি প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘কমেডি অনেকসময়ই নাটকীয় হয়, কখনো বা ভীষণ দুঃখদায়কও হতে পারে৷ সেই যন্ত্রণাদায়ক কমেডিই হল ইটালীয় কমেডি৷ যা হাসায় আবার পাশপাশি বুকের গভীরে ব্যাথারও জন্ম দেয় একইসঙ্গে৷'

কমেডির জীবনের শেষ দৃশ্যটাকেও নাটকীয় করেই তাই বোধহয় বিদায় নিলেন মারিও মনিচেলি৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম