পঞ্চমীর রাতেই জনজোয়ার, করোনা বিধি মানা হবে কী করে?
রোববার। পঞ্চমীর সন্ধ্যা। দেবী দুর্গার বোধনও হয়নি। তাতে কী, মানুষের ঢল পুজোমণ্ডপে। এই ভিড়ে করোনাকালের বিধিনিষেধ কি মানা সম্ভব হবে, উঠছে প্রশ্ন।
পঞ্চমীতেই মানুষের ঢল
পঞ্চমীতেই ভিড় পুজোমণ্ডপে। দক্ষিণ কলকাতার একটি মণ্ডপের ছবি। তবে এই দৃশ্য উত্তর, দক্ষিণ, মধ্য কলকাতা সর্বত্র।
মানুষের উৎসাহ
পুজোর দিনে মানুষকে আর ঘরে রাখা যাচ্ছে না। তারা দলে দলে নেমে পড়েছেন পুজো দেখতে। অধিকাংশ মানুষ মোবাইলে ধরে রাখছেন পুজোর ছবি। সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণের কোনো চেষ্টা পঞ্চমীতে হয়নি।
অশনি সঙ্কেত
পঞ্চমীতেই এই ভিড় দেখে শঙ্কিত পুজো কমিটির সদস্যরা। কেমন করে করোনার বিধিনেষেধ মানা হবে, তা নিয়ে তারা চিন্তায়।
করোনাকালের বিধিনিষেধ
করোনাকালের জন্য একগুচ্ছ বিধিনিষেধ রয়েছে। প্রতিটি পুজো কমিটিকে সেই বিধিনিষেধ মেনে চলতে হচ্ছে। প্রশাসন পুজো কমিটিগুলিকে জানিয়েছে, তাদের কী করতে হবে।
মাস্ক ও স্যানিটাইজার
মাস্ক ছাড়া পুজোমণ্ডপে প্রবেশ নিষেধ। স্যানিটাইজারও রাখতে হবে। দমদম পার্কে একটি মণ্ডপে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষেধের কথা বলা রয়েছে।
প্রবেশ নিষেধ
দর্শনার্থীদের একটি জায়গা পর্যন্ত যেতে দেয়া হচ্ছে। তারপর নয়। বিধাননগরে এমনই একটি মণ্ডপে প্রবেশ নিষেধের বোর্ড লাগানো হয়েছে।
উদ্যোক্তাদের মাস্ক
অনেক জায়গায় উদ্যোক্তারা নিজেদের জন্য আলাদা মাস্ক বানিয়েছেন। দুটো ভ্যাকসিন নেয়া না থাকলে পুজোর কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না। বাচ্চা ও বয়স্কদের আসতে দেয়া হচ্ছে না। দমদম পার্ক তরুণ সংঘের কর্মকর্তারা নিজেদের মাস্ক পরে আছেন।
চারদিক খোলা
প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছিল, প্যান্ডেলের তিনদিক খোলা রাখতে হবে। প্রফুল্ল কাননের একটি চারদিক খোলা পুজো মণ্ডপ।
প্রতিদিন মণ্ডপ স্যানিটাইজ
প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, প্রতিটি পুজো মণ্ডপ প্রতিদিন স্যানিটাইজ করতে হবে। বেহালার একটি পুজো মণ্ডপ স্যানিটাইজ করা হচ্ছে।
মণ্ডপে পুলিশ মোতায়েন
বড় মণ্ডপগুলিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তারা করোনাবিধি মানা হচ্ছে কি না, সেটাও খেয়াল রাখছে। কিন্তু ভিড়ের উপর তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
প্রতিবন্ধীদের জন্য
প্রতিবন্ধীদের জন্য অনেক মণ্ডপে রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। পুলিশের কাছে থাকছে তাদের ব্যবহার করার জন্য চেয়ার। দরকার হলে বয়স্করাও তা ব্যবহার করতে পারবেন।
আগামী দিনগুলোর জন্য চিন্তা
পঞ্চমীতেই এত মানুষ। এরপর ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী আছে। তখন তো আরো বেশি মানুষ রাস্তায় নামবেন পুজো দেখতে। তখন ভিড় সামাল দিতে না পারলে করোনা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।